বর্তমান বিশ্বের নতুন দফা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিপ্লব এবং শিল্পের সংস্কার দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় এক অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। সম্প্রতি নোবেল পুরস্কারজয়ী ডেভিড গ্রস চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
ডেভিড গ্রস বলেন, প্রতিবছর তিনি কমপক্ষে একবার চীন সফর করেন এবং বিগত ২৫ বছর ধরেই তা করছেন। তার মতে, প্রাকৃতিক নীতি, নতুন ফেনোমেনন আবিষ্কার হলে ফলিত বিজ্ঞান ও নতুন প্রযুক্তি উন্নত হতে পারে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১০ বছর আগে তার কৌশলগত চিন্তাধারায় মৌলিক বিজ্ঞানের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন।
২০ বছর আগে চীন ও অন্য উন্নয়শীল দেশে এমন বিতর্ক ছিল যে, মৌলিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, নাকি বিদ্যমান সমস্যা সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বিতর্কের কারণ, মৌলিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় বেশি খরচ লাগে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মৌলিক বিজ্ঞান প্রয়োজন। চীন শক্তিশালী ও ধনী দেশ হতে যাচ্ছে এবং চীনের উচিত মৌলিক বিজ্ঞানে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করা।
চীনের পরিবর্তন প্রসঙ্গে ডেভিড গ্রস বলেন, বিশাল ভবন ও অবকাঠামো দেখে তিনি অবাক হন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার জনপ্রিয়তা দেখে তিনি আশ্চর্য বোধ করেন। বর্তমানে চীন বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর পরীক্ষাগার নির্মাণে সক্ষম। চীনের আছে বিশ্বের বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর কী প্রভাব ফেলে? এ প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড গ্রস বলেন, এটি একটি জটিল ব্যাপার। প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করলে কঠোর কাজ ও বেশ খরচ লাগে, পাশাপাশি অসংখ্য দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘর্ষ, রাজনীতি ও বড় দেশগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে বিজ্ঞান খাতে সহযোগিতা আগের চেয়ে কমেছে। বিজ্ঞানের জন্য এটি বিপজ্জনক প্রচনতা। তবে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে কল্যাণকর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
সূত্র :শিশির-আলিম-রুবি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।