
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী, আগরতলা, ভারত
এমন তো কথা ছিলোনা
কথা ছিলো দেশটা হবে উত্তম গণতন্ত্রের দেশ,
মানুষের কথা বলার অধিকার,খাবার, শিক্ষা, আবাসগৃহ,সাথে চিকিৎসার নিশ্চয়তা ও থাকবে,
মানুষেরা সমস্ত অন্যায় অত্যাচার মুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অলংকৃত হবে,
আমরা গভীর ভাবে বিশ্বাস ও করলাম।
কথা ছিলো
আর কোনো শিশু মাতৃদুগ্ধের জন্য কাঁদবেনা, কোনো নারী সম্ভ্রম হারিয়ে নিঃস্ব হবেনা,
অভিধান থেকে কিছু শব্দ চিরতরে মুছে দেওয়া হবে
অত্যাচারীতের চিৎকারে আর আকাশ ভারী হবেনা
বিচারের দাবি নীরবে কাঁদবেনা
এক নদী রক্ত সাঁতরিয়ে তীর ভাঙ্গা ঢেউ অতিক্রম করে আশায় বুক বেঁধেছিলাম আমরা
অনন্য সুখের স্বপ্নে চোখ ভরে গিয়েছিলো আমাদের।
কথা ছিলো
সকল ধর্মান্ধতা দূর করে
সকলেই পরস্পরের হাতে হাত ধরে চলবে
মানবতার গানে আকাশ ফাটিয়ে তুলবে,
রাজপথে গুলির আওয়াজে আর আঁতকে উঠবেনা কেউ
নিথর বেওয়ারিশ লাশের দুর্গন্ধে নাক তুলে দেখতে হবেনা মানবতার বিপর্যয়,
সবাই হাসবে, গাইবে, সবাই ভালোবাসবে দেশকে।সে
আর হলো কই?
- সব কিছুই দিবা স্বপ্নের মতো ভেঙে গেলো,
গণতন্ত্রের পাথর চাপায় সমস্ত অঙ্গীকার গুড়িয়ে গেলো,
গণতন্ত্রের নামে স্বেচ্ছাচারীতার নির্লজ্জ আস্ফালন
প্রতিষ্ঠিত হলো
সবার চোখ হতাশার কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে গেলো
অঙ্গীকার ভঙ্গের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানিক রূপ নিয়ে
জগদ্দল পাথর চাপায় মুক্তির স্বপ্নেরা এখন কুঁকরিয়ে কাঁদছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























