
সোনিয়া আখন্দ
তোমাকে না পাওয়ার চিৎকার গুলো
আজ বন্দী কারাগারে।
সদর দরজায়, কড়া পাহাড়ায়,
রেখে দিয়েছি চাতক পাখিটারে!
তুমি, শুধু কী তুমি ছিলে?
আমি জেনেছি তোমার চোখে-
শান্ত আকাশ,নীলে নীলে ভরা,
কুসুমের মতো মন, করলে না যতন,
দিয়ে গেলে নিদারুণ চৈত্রের খরা!
দিন যাচ্ছে বয়ে স্রোতের মতো,
সুকান্তের ঝলসানো চাঁদ এখনো উঠে!
নদীরা ছুটে চলে সাগরটানে,
অশান্ত প্রেম মিলেমিশে একাকার
প্রিয়সীর নিষিদ্ধ ঠোঁটে।
সুতা কাটা সে-ই ঘুড়িটার মায়ায়,
নাটাই টা অযতনে বদ্ধ ঘরে।
সুনসান নীরবতা, অসহায় সরলতা,
আমি যেনো খুব আলাদা,এই কোলাহল শহরে।
হঠাৎ বদল করা চশমার ফ্রেমে
কোনো আঙ্গুল ছোটে না, নিজ খেয়ালে,
কারো চুল,কারো ভুল এখন আর ফোটে না,
ছোট্ট ঘরের, সেই ছোট্ট দেয়ালে।
যদি ক্লান্ত হয় কভু, নিজের চুলে
বিলি কাটা সেই আঙ্গুল!
গন্ধ শুঁকে শুঁকে, যদি ছিঁড়ে ফেলি কোনো ফুল!
তবুও যাবো না, ফিরে থাকাবো না
দিয়ে যাবো আজীবন মাশুল।
তবে একবার যদি আসে সেই সময়
ভীষণ ঘুমের ঘোরে হঠাৎ কেঁপে উঠে
তোমার হৃদয়!
আমি আসব ফিরে, কোনো এক নিশীত ভোরে
কাটাতে তোমার অনুশোচনার ভয়।