ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর Logo এক মাসে বরগুনার আট সাংবাদিকের নামে মামলা Logo বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ Logo বরুড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় Logo রাহিবুল ইসলাম তাবিব জিপিএ ৫পেয়েছে Logo পরকীয়া প্রেমিকের আশ্বাসে চাকুরীজীবি স্বামীকে তালাক : বিপাকে সুমাইয়া Logo বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র মোংলা উপজেলা কমিটি গঠিত Logo কটিয়াদী মানিক খালী বাজার রেল চত্বরে আনারস প্রতীকেট গণসংযোগ Logo দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন – প্যানেল প্রার্থীদের বিজয়ী করতে একাট্রা তৃনমুল নেতাকর্মীরা Logo চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়স্থ্য বরুড়া ছাএকল্যাণ সমিতি’র নূতন কমিটি ঘোষণা

নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে বিস্তৃত করা হয়েছে কুমিল্লাকে। এই জেলায় ১৭ উপজেলা, ১৮ থানা মিলে ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ১১ আসনের ৯৩জন প্রার্থী এবার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করতে এই জেলাকে একরকম নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, ১১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ছয় হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ জন, নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৪ জন। এই জেলায় সিটি করপোরেশন ১টি, পৌরসভা ৮টি ও ইউনিয়ন ১৯৩টি। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৫টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৮টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪১২টি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এ জেলার ১১ টি আসনের ৫০০টি সাধারণ, ৫৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৭১ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নজরে রেখেছে জেলা পুলিশ।

এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৪৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩২ প্লাটুনে ৬৮২ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাব ১৮০ জন ও অতিরিক্ত ৫০ জন মোতায়েন করা হবে। রেললাইনসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ হাজারের বেশি পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ১০৫টি পেট্রোলিং টিম জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহলে থাকবে ।

এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ও অতিরিক্ত ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৫ জন।

কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামসহ কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে এছাড়া ধাপ অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

এ ছাড়া কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় কুমিল্লাকে। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিমও থাকবে। মোবাইল ডিউটি, কেন্দ্রভিত্তিক ডিউটি, ডিবি-ডিএসবির ৩০০ এর বেশি গোয়েন্দা, পেট্রোল টিম, স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান বলেন, যখনই কোনও প্রার্থী বা সাধারন জনগন অভিযোগ করেছেন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করছে যাচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুর

নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আপডেট সময় ০২:৫৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে বিস্তৃত করা হয়েছে কুমিল্লাকে। এই জেলায় ১৭ উপজেলা, ১৮ থানা মিলে ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ১১ আসনের ৯৩জন প্রার্থী এবার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করতে এই জেলাকে একরকম নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, ১১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ছয় হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ জন, নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৪ জন। এই জেলায় সিটি করপোরেশন ১টি, পৌরসভা ৮টি ও ইউনিয়ন ১৯৩টি। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৫টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৮টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪১২টি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এ জেলার ১১ টি আসনের ৫০০টি সাধারণ, ৫৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৭১ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নজরে রেখেছে জেলা পুলিশ।

এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৪৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩২ প্লাটুনে ৬৮২ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাব ১৮০ জন ও অতিরিক্ত ৫০ জন মোতায়েন করা হবে। রেললাইনসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ হাজারের বেশি পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ১০৫টি পেট্রোলিং টিম জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহলে থাকবে ।

এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ও অতিরিক্ত ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৫ জন।

কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামসহ কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে এছাড়া ধাপ অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

এ ছাড়া কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় কুমিল্লাকে। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিমও থাকবে। মোবাইল ডিউটি, কেন্দ্রভিত্তিক ডিউটি, ডিবি-ডিএসবির ৩০০ এর বেশি গোয়েন্দা, পেট্রোল টিম, স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান বলেন, যখনই কোনও প্রার্থী বা সাধারন জনগন অভিযোগ করেছেন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করছে যাচ্ছে।