ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড Logo কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ Logo শেরপুর–ময়মনসিংহ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানী মালামাল সহ কাভার্ডভ্যান ও ইজিবাইক আটক Logo কটিয়াদীর বনগ্রাম বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা Logo সরাইলে এনসিপির উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে শিক্ষকের দুঃখপ্রকাশ Logo ‎বরুড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলাহাট রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল অফিস দুর্নীতির আখড়া Logo বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ১১ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা Logo টেকনাফে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ১ মাদক পাচারকারী আটক Logo শেরপুরে ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক কয়েদী গ্রেফতার

পিতৃহন্তা

সৌমেন্দু লাহিড়ী
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

একদিন এক সন্ধ্যাবেলায়
গগনে চপলা চমকিয়া যায়,
স্বজ লয়ে আসে বহন করিয়া
পিতার দেহ তাহার,
শুধাইল মাতা, “কী হইল তাহার?”
সুত কহে পিতা কহিবে না আর
তিনি ইহলোকে নাই।

কহে সবে, “এ কী হইল তাহার?”
স্বজ কহে রাজনীতির স্বীকার,
মালিকের কাছে চাহিছিল পিতা
শ্রমিকের অধিকার।

বাপীর বিবেক কহে, “নির্বোধ
লইতে হইবে এর প্রতিশোধ
যে মারিয়াছে তোমার পিতারে
তাহার কলিজা চাই।”
ছাড়ি দিল বেটা বাটী সেই ক্ষণে,
বিবেকের তাড়নায়।

জীর্ণ শরীর চলিতে না পারে,
কোটিতে ভোজালি বিদ্রুপ করে…
শীর্ণ শরীরে বধিতে অরিরে,
ও কি পারিবে হায়!
তবু প্রতিশোধ লইবার তরে,
যে মারিয়াছে তাহার পিতারে,
খোকা খুঁজি যায় শুধুই তাহারে
সকাল-সন্ধ্যা তাই।

একদিন এক ঘন বরষায়,
বিকেল না ঠিক সাঁঝের বেলায়,
সময় সঠিক বোঝা বড় দায়,
হেরিল পুত্র পিতৃহন্তা
সম্মুখ দিয়া যায়…
হুংকার ছাড়ি জীর্ণ শরীরে
উঠিতে গেলেও উঠিতে না পারে,
নিক্ষেপ করে ভোজালিটারে
পিতৃহন্তার গায়।
সব শেষ, শুধু নিথর দেহ
পড়ি আছে রাস্তায়।

অতীব কষ্টে উঠিয়া বাপী,
দাঁড়াইলো আসি দাঁতে দাঁত চাপি
থর থর দেহ উঠিতেছে কাঁপি
নিধনের উন্মাদনায়,
মিটাইলো সুত এভাবেই আজি
পিতৃঋণের দায়।।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

SBN

SBN

পিতৃহন্তা

আপডেট সময় ০৫:০২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

সৌমেন্দু লাহিড়ী
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

একদিন এক সন্ধ্যাবেলায়
গগনে চপলা চমকিয়া যায়,
স্বজ লয়ে আসে বহন করিয়া
পিতার দেহ তাহার,
শুধাইল মাতা, “কী হইল তাহার?”
সুত কহে পিতা কহিবে না আর
তিনি ইহলোকে নাই।

কহে সবে, “এ কী হইল তাহার?”
স্বজ কহে রাজনীতির স্বীকার,
মালিকের কাছে চাহিছিল পিতা
শ্রমিকের অধিকার।

বাপীর বিবেক কহে, “নির্বোধ
লইতে হইবে এর প্রতিশোধ
যে মারিয়াছে তোমার পিতারে
তাহার কলিজা চাই।”
ছাড়ি দিল বেটা বাটী সেই ক্ষণে,
বিবেকের তাড়নায়।

জীর্ণ শরীর চলিতে না পারে,
কোটিতে ভোজালি বিদ্রুপ করে…
শীর্ণ শরীরে বধিতে অরিরে,
ও কি পারিবে হায়!
তবু প্রতিশোধ লইবার তরে,
যে মারিয়াছে তাহার পিতারে,
খোকা খুঁজি যায় শুধুই তাহারে
সকাল-সন্ধ্যা তাই।

একদিন এক ঘন বরষায়,
বিকেল না ঠিক সাঁঝের বেলায়,
সময় সঠিক বোঝা বড় দায়,
হেরিল পুত্র পিতৃহন্তা
সম্মুখ দিয়া যায়…
হুংকার ছাড়ি জীর্ণ শরীরে
উঠিতে গেলেও উঠিতে না পারে,
নিক্ষেপ করে ভোজালিটারে
পিতৃহন্তার গায়।
সব শেষ, শুধু নিথর দেহ
পড়ি আছে রাস্তায়।

অতীব কষ্টে উঠিয়া বাপী,
দাঁড়াইলো আসি দাঁতে দাঁত চাপি
থর থর দেহ উঠিতেছে কাঁপি
নিধনের উন্মাদনায়,
মিটাইলো সুত এভাবেই আজি
পিতৃঋণের দায়।।