ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যের চালিকাশক্তি: সিএমজি সম্পাদকীয়

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

চীনের শুল্ক সাধারণ বিভাগ গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানায়, ২০২৩ সালে চীনের আমদানি- রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল ৪১.৭৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। যা ২০২২ সালের চেয়ে ০.২ শতাংশ বেশি। এ অবস্থায় চীন টানা সাত বছর পণ্য বাণিজ্যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের উত্থান ও ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বেশ দুর্বল। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্তার অর্থনীতি হ্রাস পাচ্ছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ কমেছে। এই পটভূমিতে চীনের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী উৎসাহ।

চীন বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রের সুবিধাজনক ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৩ সালে চীনের ২৩.৭৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের রপ্তানির মধ্যে ২৩.৫১ ট্রিলিয়ন ছিল উৎপাদিত শিল্প। এর মধ্যে সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্পের রপ্তানির পরিমাণ ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রপ্তানি পরিমাণের প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল। বিশেষ করে, জাহাজ ও গাড়ি শিল্প আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

বর্তমানে চীনা উৎপাদন ‘চীনা সৃজনশীলতা’ পর্যায়ে উঠে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনের নিজের ব্রান্ডের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৯.৩ শতাংশ বেড়েছে। ‘বিশ্বের কারখানা’ থেকে উদ্ভাবন উচ্চভূমিতে পরিণত হচ্ছে চীন। চীন বিশ্বের জন্য শুধু পণ্য উৎপাদনই করছে না, তবে সহযোগিতা ও অভিন্ন কল্যাণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান ছিল ৩০ শতাংশেরও বেশি। চীন এখনো বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম চালিকাশক্তি। চীনা অর্থনীতি অব্যাহতভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। যা আমদানি ও রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধি করছে।

এ অবস্থায় ধারাবাহিক উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণ নতুন পর্যায়ে উঠেছে, আরসিইপি কার্যকর হয়েছে দুই বছর, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা ৩.০-এর আলোচনা দ্রুততর হচ্ছে। এসব ব্যবস্থা বিশ্বের জন্য মুনাফা ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
সূত্র:ছাই-তৌহিদ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যের চালিকাশক্তি: সিএমজি সম্পাদকীয়

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

চীনের শুল্ক সাধারণ বিভাগ গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানায়, ২০২৩ সালে চীনের আমদানি- রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল ৪১.৭৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। যা ২০২২ সালের চেয়ে ০.২ শতাংশ বেশি। এ অবস্থায় চীন টানা সাত বছর পণ্য বাণিজ্যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের উত্থান ও ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বেশ দুর্বল। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্তার অর্থনীতি হ্রাস পাচ্ছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ কমেছে। এই পটভূমিতে চীনের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী উৎসাহ।

চীন বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রের সুবিধাজনক ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৩ সালে চীনের ২৩.৭৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের রপ্তানির মধ্যে ২৩.৫১ ট্রিলিয়ন ছিল উৎপাদিত শিল্প। এর মধ্যে সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্পের রপ্তানির পরিমাণ ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রপ্তানি পরিমাণের প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল। বিশেষ করে, জাহাজ ও গাড়ি শিল্প আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

বর্তমানে চীনা উৎপাদন ‘চীনা সৃজনশীলতা’ পর্যায়ে উঠে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনের নিজের ব্রান্ডের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৯.৩ শতাংশ বেড়েছে। ‘বিশ্বের কারখানা’ থেকে উদ্ভাবন উচ্চভূমিতে পরিণত হচ্ছে চীন। চীন বিশ্বের জন্য শুধু পণ্য উৎপাদনই করছে না, তবে সহযোগিতা ও অভিন্ন কল্যাণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান ছিল ৩০ শতাংশেরও বেশি। চীন এখনো বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম চালিকাশক্তি। চীনা অর্থনীতি অব্যাহতভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। যা আমদানি ও রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধি করছে।

এ অবস্থায় ধারাবাহিক উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণ নতুন পর্যায়ে উঠেছে, আরসিইপি কার্যকর হয়েছে দুই বছর, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা ৩.০-এর আলোচনা দ্রুততর হচ্ছে। এসব ব্যবস্থা বিশ্বের জন্য মুনাফা ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
সূত্র:ছাই-তৌহিদ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।