ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo বুড়িচংয়ে স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে তরুণের আত্মহত্যা Logo শ্রীবরদীতে বেড়েছে মাদক: উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ক্ষোভ Logo ঝিনাইগাতী সীমান্তে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় মদ জব্দ Logo বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে? Logo বুড়িচংয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাই সাইকেল বিতরণ Logo ডাকসুর নির্বাচন স্থগিতস্থগিত Logo বাঘাইছড়িতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo শিশু নৃত্যশিল্পী গুনগুন এখন রবিঠাকুরের “তোতন” Logo উন্নয়ন ও শান্তি: সাধারণ স্বার্থে ভারত-চীনের ঐকমত্য

ওয়াং ই এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সহকারীর বৈঠক

  • শুয়েই ফেই ফেই:
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

গত শুক্রবার ও শনিবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, সিপিসি’র বৈদেশিক কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়াং ই ব্যাংককে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক সহকারী জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে নতুন দফা বৈঠক করেছেন।

দু’পক্ষ দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সান ফ্রান্সিসকো বৈঠকের মতৈক্য বাস্তবায়ন করা, সঠিকভাবে চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলা করার বিষয়ে আন্তরিক ও ফলপ্রসূ কৌশলগত যোগাযোগ করেছে।

ওয়াং ই বলেন, চলতি বছর চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী। দু’দেশের উচিত এ সুযোগে অভিজ্ঞতার আলোকে আচরণ করা, পরস্পরকে সম্মান প্রদর্শন করা এবং পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থের ক্ষতি না করা।

ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাইওয়ান অঞ্চলের নির্বাচন ‘অঞ্চলটি চীনের অংশ’- এমন বাস্তবতা পরিবর্তন করবে না। তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল “তাইওয়ান স্বাধীনতা প্রয়াসীরা”।

যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এক-চীন নীতি এবং তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ ইশতেহার মেনে চলতে হবে, “তাইওয়ান স্বাধীনতার প্রয়াসীদের” সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনকে সমর্থন দিতে হবে।

ওয়াং ই উল্লেখ করেন যে, সব দেশের জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগ রয়েছে, তবে সেগুলো অবশ্যই বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত হতে হবে এবং প্যান-রাজনীতিকরণ বা প্যান-নিরাপত্তায় জড়ানো যাবে না, একে অন্য দেশের উন্নয়ন রোধ ও দমনে ব্যবহার করা উচিত নয়। উভয় পক্ষই জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমানা নিয়ে আরও আলোচনায় সম্মত হয়েছে।

উভয় পক্ষ যৌথভাবে “সান ফ্রান্সিসকো ভিশন” বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধান নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে; চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবক্ষেত্রে এবং
সবস্তরে বিনিময় বাড়ানো এবং ভাল ব্যবহার করতে রাজি হয়েছে; চীন-মার্কিন সম্পর্কের দিকনির্দেশনার নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। দুই দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণের জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

ওয়াং ই এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সহকারীর বৈঠক

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

গত শুক্রবার ও শনিবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, সিপিসি’র বৈদেশিক কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়াং ই ব্যাংককে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক সহকারী জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে নতুন দফা বৈঠক করেছেন।

দু’পক্ষ দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সান ফ্রান্সিসকো বৈঠকের মতৈক্য বাস্তবায়ন করা, সঠিকভাবে চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলা করার বিষয়ে আন্তরিক ও ফলপ্রসূ কৌশলগত যোগাযোগ করেছে।

ওয়াং ই বলেন, চলতি বছর চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী। দু’দেশের উচিত এ সুযোগে অভিজ্ঞতার আলোকে আচরণ করা, পরস্পরকে সম্মান প্রদর্শন করা এবং পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থের ক্ষতি না করা।

ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাইওয়ান অঞ্চলের নির্বাচন ‘অঞ্চলটি চীনের অংশ’- এমন বাস্তবতা পরিবর্তন করবে না। তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল “তাইওয়ান স্বাধীনতা প্রয়াসীরা”।

যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এক-চীন নীতি এবং তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ ইশতেহার মেনে চলতে হবে, “তাইওয়ান স্বাধীনতার প্রয়াসীদের” সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনকে সমর্থন দিতে হবে।

ওয়াং ই উল্লেখ করেন যে, সব দেশের জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগ রয়েছে, তবে সেগুলো অবশ্যই বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত হতে হবে এবং প্যান-রাজনীতিকরণ বা প্যান-নিরাপত্তায় জড়ানো যাবে না, একে অন্য দেশের উন্নয়ন রোধ ও দমনে ব্যবহার করা উচিত নয়। উভয় পক্ষই জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমানা নিয়ে আরও আলোচনায় সম্মত হয়েছে।

উভয় পক্ষ যৌথভাবে “সান ফ্রান্সিসকো ভিশন” বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধান নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে; চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবক্ষেত্রে এবং
সবস্তরে বিনিময় বাড়ানো এবং ভাল ব্যবহার করতে রাজি হয়েছে; চীন-মার্কিন সম্পর্কের দিকনির্দেশনার নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। দুই দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণের জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।