
তুমি সুখী হও
ইলোরা সোমা
ভালোবাসায় মনের জানালার পাল্লা
দুটো খোলা ছিল মনভলো থাকার
দিনটা বেরিয়েছিল সে’পথ দিয়ে
একবারের জন্যও আটকাই নি।
আমার মনে আছে অধিকার সবারই থাকে
যেমন প্রবঞ্চনা মিথ্যে বলা আর সব থেকে বড়
দীর্ঘদিন ধরে চলা গভীরতার হঠাৎই
এবং অকস্মাৎ সব কিছু থেকে ইতিটানা।
কখন যে নিজের অধিকার টুকুও হারিয়ে ফেলেছি
নিজেও জানিনা পুরোনো বটের ঝুড়ি যদি আচমকাই
নবীন হয়, অনেকটা সেরকম সেরমটাই হয়েছে
অবাধ্য মন, তবুও রোজ চিঠি লেখে।
লেখালিখির অভ্যাসটা ছিলো বরাবরের মত
তারপর চিঠিটা কুঁচিকুঁচি করে হাওয়াতে উড়িয়ে দিতাম
আর নাছোরবান্দা হাওয়া ওই কুঁচিগুলো
আমার নির্দেশ উপেক্ষা করে নিয়ে যায়।
যেখানে সে যেত সব চিঠি নিয়ে যেন অলিখিত চুক্তি
মনে পরে প্রথম দেখা এক অচেনা বন্ধুকে যেদিন
বলছিলেন আমার হাস্যকর ভালবাসার কথা ,
আর তাকে পেয়ে তুমি ধন্য ঠিক সেদিনই না
সারবার কর্কট রোগ ধরেছিল আমার।
আমি তো কখনও আমার অন্তিমদিন ধরে নিয়েছি
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তোমায়, তুমি তা তরান্বিত করছ
যে পাথরকে খোদা মেনেছিলাম, সে আজ জীবন
খুঁজেছে অন্য জীবনে মিশে যেতে ।
এটা তো বুঝে গেলেলাম তোমার সঙ্গে থেকে
ঘুড়ির কাটার মত জীবন জন্মান্তর ধরে চলছে
তো চলবে ক্লান্তিহীন ভাবে এবার ক্ষান্ত হও
পারলে একটা চারা পুঁতে দিও আমার কবরে
তাই ভাবনার আড়ালেই থাক না মনের জানলার
সকল চাওয়া আর কিছুদিন তারপর তো
আর তোমার বইতে হবেনা আমার কোন ভার
যার কারনে তোমার এত ছলাকলা তুমি সুখী হও
সুখী হও তোমার একছত্র অধিপত্যে।