
মাকে বুঝতে সময় লাগলো পঞ্চাশ বছর
লাবণ্য সীমা
মাগো তোমায় নিয়ে লেখতে বলে অনেকে
আমি যে শব্দ কুড়াতেই ব্যস্ত।
তোমায় নিয়ে তো আর যে সে শব্দ যুক্ত করে লিখলে হবে না।
তুমি যে আমার পৃথিবী।
তোমায় চিনতে সময় লেগেছে আমার পঞ্চাশ বছর।
যখন আমি অনেক ছোট তখন আমার তোমাকে সাগর মনে হতো।
তোমার বিশালতায় নিরিড় হয়ে তোমার কাছেই থাকতে ইচ্ছে করতো।
যখন আমি একটু বড় হলাম
স্কুলেতে সব পড়া সুন্দর করে স্যার দিতে পারতাম।স্যার তখন বলতো আমায় খুব ভালো মেয়ে।আমার সামনে তখন তোমার মুখটি গর্বে ভেসে উঠতো।
আমার সকল পড়া যে আমি তোমার কাছেই শিখতাম।
আমার মা অনেক শিক্ষিত নয় তারপরও শ্রেনী অস্টম পর্যন্ত আমি তার কাছেই পড়তাম।অনেক ভালো ফল করতাম।
আমার মা আমার কাছে সেরা শিক্ষক দের একজন।
আরো একটু বড় হলাম
তখন মা বন্ধু হলো
আমার সকল পথ নির্দেশনা আমি তার কাছ থেকেই নিতাম
আমার মা আমার কাছে সেরা বন্ধু দের একজন।
যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাতালিকায়
চান্স পেলাম তখন মায়ের চোখে দেখেছি পরিতৃপ্তির হাসি,যা ছিলো আমার জীবনের আর্শীবাদ।
যখন বিয়ে হয়ে গেলো তখন বুঝলাম শূন্যতা কত গভীর ক্ষত।
মায়ের আঁচলের ছায়া কতটা মায়াময়, কতটা নিরাপদ।
যখন প্রথম নিজে মা হলাম তংন বুঝলাম একটি সন্তান জন্মদিতে একজন মা কতটা কষ্ট পান।
তখন মায়ের প্রতি আমার ভালোবাসা লক্ষ কোটি গুন বেড়ে গেলো।
মাগো ওরা তোমায় নিয়ে লিখতে বলে আমি যে শব্দ খুঁজে পাই না।
যখন আমি আমার সন্তান দের বড় করছি তখন বুঝতে পারলাম কত যত্ন করে মা আমাকে বড় করেছেন।
সন্তান কে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে বঠ করা কত কঠিন কাজ।
আমি একজন শিক্ষিত মা হয়ে আমার সন্তান কে পড়াশোনা করাতে কত বেগ পেতে হচ্ছে কত পড়াশোনা আমাকে করতে হচ্ছে,
অথচ আমার মা এত মেধাবী ছিলেন যে তার দেওয়া শিক্ষায় আমার কখনো খারাপ ফলাফল আসতো না।অংক, ইংলিশ, বাংলা, সমাজ কোনোটাতে ই নাইটি ফাইভের নিচে নাম্বার আসতো না।
কতযত্ন কর