ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লাকসামে ১৯ বছরের তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার-৫ Logo জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করবে Logo রূপসায় ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ উইমেন্স ফ্যাশন ডিজাইনার সোসাইটির পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ Logo বরুড়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo উখিয়া যুবদলের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬ Logo বুড়িচংয় অবৈধ অনু প্রবেশের সময় ভারতীয় দুই নাগরিক আটক Logo লালমনিরহাটে কুপ্রস্তাব বিচার চেয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ Logo এবছর ২৬ মার্চেও কুচকাওয়াজ হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র সচিব  Logo এবার ঈদে কেনাবেচার ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘ইন্টারন্যাশনাল নাইট মার্কেট ইন ঢাকা’

গাইবান্ধায় আইন মন্ত্রণালয়ের জায়গার লীজের বৈধতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মোঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত (কাচারি বাজার) পুরাতন কোর্ট চত্বর (বিচার বিভাগের) জায়গা দখল -বেদখল, মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন, কথিত লীজ প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়ে গভীর উদ্বেগজনক বিবৃতি দেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ।

গাইবান্ধার কাচারী বাজারের পুরাতন জজ কোর্টের মূল্যবান জায়গাটি দখল -বেদখলের ব‍্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ বলেন, কথিত জায়গাটি আইনগত প্রক্রিয়ায় কিভাবে, কবে, কখন লীজ দেয়া হয়েছে তা অস্পষ্ট। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর কেন হঠাৎ করে লীজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল তাও অস্পষ্ট। এমনভাবে রাতারাতি যেখানে পুরোনো গাছগুলো কেটে হরিলুট করা হলো তারপরেও সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান- জায়গাটির তত্বাবধায়ক জেলা ও দায়রা জজ আদালত কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভুমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।
এব‍্যাপারে এক প্রশ্ন উত্তরে পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান জানান,পৌর নিয়ম অনুযায়ী পৌর এলাকার যে কোন অবকাঠামো নির্মানের জন্য পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন বাধ্যতামুলক। কিন্তু কাচারী বাজার আইন মন্ত্রণালয়ের জায়গায় যেসব দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে পৌরসভা থেকে তার কোন অনুমোদন নেয়া হয় নাই। গাইবান্ধা জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরিফুল ইসলাম মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি যেকোন প্রতিষ্টানের জায়গায় গাছ কাঁটতে হলে বন বিভাগের নিয়মকানুন অনুযায়ী গাছের মূল্য নির্ধারণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব‍্যাবস্হা গ্রহণযোগ্য। তিনি আরও জানান, (কাচারি বাজার) পুরাতন কোর্ট চত্বর (বিচার বিভাগের) সরকারি জায়গায় মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো কর্তন করায় সরকার রাজস্ব আয় থেকে বন্চিত হয়েছে।

উক্ত লিজকৃত দোকান ঘরের তদারকিতে থাকা মোঃ শাহিন মিয়া নিজেকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের ক‍্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে দৈনিক নবচেতনা গাইবান্ধা প্রতিনিধিকে জানান, এখানে ১৭ টি দোকান ঘর লীজ দেয়া হয়েছে। প্রতি স্কয়ার ফিট ৮ টাকা হিসেবে নির্ধারণের প্রেক্ষিতে উক্ত দোকান ঘর প্রতি মাসিক ফি ১০০০/= এক হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিবৃতি দেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি’র কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ। বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি, কমরেড প্রনব চৌধুরী। গাইবান্ধা জেলা বাসদ (মার্কসবাদী) এর আহবায়ক, কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ। গাইবান্ধা জেলা সিপিবি, সাধারণ সম্পাদক, কমরেড মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।

গাইবান্ধা জেলা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আহবায়ক, মৃনাল কান্তি বর্মন। বাংলাদেশ কমিউনিস্টলীগ, গাইবান্ধা জেলা শাখার,সাধারণ সম্পাদক, কমরেড রেবতি বর্মন। গাইবান্ধা জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের আহবায়ক, এডভোকেট, নওশাদুজ্জামান নওশাদ। গাইবান্ধা জেলা, (মার্কসবাদী) বাসদ সদস্য, এডভোকেট, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমূখ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লাকসামে ১৯ বছরের তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার-৫

SBN

SBN

গাইবান্ধায় আইন মন্ত্রণালয়ের জায়গার লীজের বৈধতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত (কাচারি বাজার) পুরাতন কোর্ট চত্বর (বিচার বিভাগের) জায়গা দখল -বেদখল, মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন, কথিত লীজ প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়ে গভীর উদ্বেগজনক বিবৃতি দেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ।

গাইবান্ধার কাচারী বাজারের পুরাতন জজ কোর্টের মূল্যবান জায়গাটি দখল -বেদখলের ব‍্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ বলেন, কথিত জায়গাটি আইনগত প্রক্রিয়ায় কিভাবে, কবে, কখন লীজ দেয়া হয়েছে তা অস্পষ্ট। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর কেন হঠাৎ করে লীজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল তাও অস্পষ্ট। এমনভাবে রাতারাতি যেখানে পুরোনো গাছগুলো কেটে হরিলুট করা হলো তারপরেও সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান- জায়গাটির তত্বাবধায়ক জেলা ও দায়রা জজ আদালত কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভুমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।
এব‍্যাপারে এক প্রশ্ন উত্তরে পৌর মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান জানান,পৌর নিয়ম অনুযায়ী পৌর এলাকার যে কোন অবকাঠামো নির্মানের জন্য পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন বাধ্যতামুলক। কিন্তু কাচারী বাজার আইন মন্ত্রণালয়ের জায়গায় যেসব দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে পৌরসভা থেকে তার কোন অনুমোদন নেয়া হয় নাই। গাইবান্ধা জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরিফুল ইসলাম মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি যেকোন প্রতিষ্টানের জায়গায় গাছ কাঁটতে হলে বন বিভাগের নিয়মকানুন অনুযায়ী গাছের মূল্য নির্ধারণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব‍্যাবস্হা গ্রহণযোগ্য। তিনি আরও জানান, (কাচারি বাজার) পুরাতন কোর্ট চত্বর (বিচার বিভাগের) সরকারি জায়গায় মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো কর্তন করায় সরকার রাজস্ব আয় থেকে বন্চিত হয়েছে।

উক্ত লিজকৃত দোকান ঘরের তদারকিতে থাকা মোঃ শাহিন মিয়া নিজেকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের ক‍্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে দৈনিক নবচেতনা গাইবান্ধা প্রতিনিধিকে জানান, এখানে ১৭ টি দোকান ঘর লীজ দেয়া হয়েছে। প্রতি স্কয়ার ফিট ৮ টাকা হিসেবে নির্ধারণের প্রেক্ষিতে উক্ত দোকান ঘর প্রতি মাসিক ফি ১০০০/= এক হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিবৃতি দেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি’র কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ। বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি, কমরেড প্রনব চৌধুরী। গাইবান্ধা জেলা বাসদ (মার্কসবাদী) এর আহবায়ক, কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ। গাইবান্ধা জেলা সিপিবি, সাধারণ সম্পাদক, কমরেড মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।

গাইবান্ধা জেলা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আহবায়ক, মৃনাল কান্তি বর্মন। বাংলাদেশ কমিউনিস্টলীগ, গাইবান্ধা জেলা শাখার,সাধারণ সম্পাদক, কমরেড রেবতি বর্মন। গাইবান্ধা জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের আহবায়ক, এডভোকেট, নওশাদুজ্জামান নওশাদ। গাইবান্ধা জেলা, (মার্কসবাদী) বাসদ সদস্য, এডভোকেট, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমূখ।