ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo এক ক্ষেতে বহু ফসল: ইউনান লং চিয়াং উপজেলার সবুজ উন্নয়ন Logo তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, চীনের তীব্র নিন্দা Logo কালীগঞ্জে এলজিইডি’র সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ Logo ঢাকায় চীনা চলচ্চিত্র ‘স্নো লেপার্ড’ এর প্রদর্শনী Logo সার্বিকভাবে আইনের শাসনকে এগিয়ে নিতে সি’র নির্দেশনা Logo চীনের আহ্বান: জাপান ভুল মন্তব্য প্রত্যাহার করুক Logo রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় Logo পঞ্চগড়ে নবাগত জেলা প্রশাসক এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo লাকসামে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু Logo গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা

ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিন্টু গ্রেপ্তার

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে (৪০) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে র‍্যাব -১০এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. মিন্টু ওরফে হেলাল সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী -সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে মারধর করে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটায় তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. রুহুল আমিন, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে মো. হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাইলের ছেলে মো. সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহীম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু, ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন, মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জামাল হেঞ্জু।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. হানিফ, আবদুল হামিদের ছেলে মো. চৌধুরী, মৃত আহম্মদ উল্যার ছেলে মো. বাদশা আলম, তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোশারফ, মৃত আরব আলীর ছেলে মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে মিন্টু ওরফে হেলাল গত ৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে তাকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ক্ষেতে বহু ফসল: ইউনান লং চিয়াং উপজেলার সবুজ উন্নয়ন

SBN

SBN

ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিন্টু গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে (৪০) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে র‍্যাব -১০এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. মিন্টু ওরফে হেলাল সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে স্বামী -সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে মারধর করে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটায় তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একমাত্র পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. রুহুল আমিন, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে মো. হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাইলের ছেলে মো. সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহীম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু, ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন, মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জামাল হেঞ্জু।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. হানিফ, আবদুল হামিদের ছেলে মো. চৌধুরী, মৃত আহম্মদ উল্যার ছেলে মো. বাদশা আলম, তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোশারফ, মৃত আরব আলীর ছেলে মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে মিন্টু ওরফে হেলাল গত ৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে তাকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।