
বুদ্ধিজীবি নিখোঁজ
অরবিন্দ সরকার
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
ন্যাংটা রাজার কাছে প্রশ্ন করার নেই লোক! সবাই যে এখন ন্যাংটা! কাপড় কোথায় তোর, বলার হাড়হিমের বুদ্ধিজীবি সব মোমবাতি জ্বালিয়ে হয়েছে হাড় শক্ত।
তারা সবাই রাজার ভক্ত। মোমবাতি অকারনে অপব্যয়ে বাজারে অমিল,
মোমবাতি জ্বলেনা আর, সবাইকে অন্ধকারে রেখে মোমবাতি বিদ্বজ্জনের টেবিল করে আলোকিত।
কেউ নেতা, কেউ মন্ত্রী, আখের গুছিয়ে নিয়ে মুখে কুলুপ!সেলোটেপ মেরে ঢেকেছে লজ্জ্বা।এখন প্রতিবাদ মিছিলে জারি হান্ড্রেড ফর্টি ফোর,
সবাই যে এক একটা মস্ত বড়ো মাল মারা চোর।
আজকের বুদ্ধিজীবি তাঁরা কাটমানি খোর। বেহায়া নির্লজ্জ এরা,শিক্ষিত বেকারদের মুখে মারে লাথি।
শিল্প উধাওয়ে সিঙুর কাঁদে, বুদ্ধিজীবিদের চক্রান্তের শিকার,শিল্প ফাঁদে,ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে তাদের বীরত্বপূর্ণ খ্যাতি।
বিজ্ঞাপনে অনুসন্ধানে নিখোঁজ বুদ্ধিজীবি রয়েছে যারা।
ভাবছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তাঁরা, জনরোষে একদিন পড়বে মারা!
রাজা তো ন্যাংটা, সবাই জানে, দিনদুপুরে পুকুর চুরি,
তোমাদের মানুষ করবে ন্যাংটা ,প্রমাণ আছে ভুরি ভুরি।
একমিনিটে পৌঁছে যেতে তখন পাহাড় থেকে জঙ্গল, মিডিয়া ছুটতো পিছে,কতো কেরামতি তাদের ওটাই তো ওদের সম্বল।
মুখোশ পড়ে মানুষের সেবা, জালিয়াতি কৌশল। স্বজন পোষনে,প্রেরণা ইন্ধনে ঠকবাজী, মিথ্যা বুলি অনর্গল।
নিখোঁজ বুদ্ধিজীবিদের খুঁজে পেতে চায় বাংলার জনতা,
গর্ত থেকে বের করবে মানুষ, তোমরা লুকাবে কোথা?
গৌতম বুদ্ধ নির্বিকার তাই হয়েছে ছাড়খার। নিরামিষ চলবে না,এবার অনাহারী মানুষ আমিষে চালাবে বিচার।
ফাঁসির রশিতে ঝুলবো বলে রোজ, তোমাদের মহারাজ,
আইন আদালতে বাঁচতে ছোটে, মাইকে ছোটে বুলি দারুন ধূর্তবাজ।
বুদ্ধিজীবি সময় হয়েছে আজ, চলছে লেডি হিটলার রাজ! তোমাদের মাথায় পড়বে তাড়াতাড়িই বিনা মেঘে বাজ!!