
শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ ও ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের বিহারী মোড় নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাহেদ (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কে বিহারী মোড় নামক স্থানে ট্রাকে সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনা স্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়।
নিহত কলেজ ছাত্র সাহেদ শহরের আড়পাড়া (পশ্চিম মাঠপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা কীটনাশক ব্যবসায়ী রমজান আলীর ছেলে ও সরকারি মাহতাবউদ্দিন কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের ছাত্র।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আজিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে সাহেদ নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাক আটক করা হয়েছে ও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আপরদিকে কালীগঞ্জ বাবরা রেল গেট নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে মেহেদি হাসান (১৯) নামে এক নসিমন চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত নসিমন চালক মেহেদি হাসান উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাহবুবার রহমানের একমাত্র পূত্র ও শহীদ নূর আলী কলেজ থেকে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবেশক সমিতির অংকীতা ট্রেডার্সের নসিমন গাড়ি চালক হিসাবে কাজ করতো।
বুধবার (০৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মোবারকগঞ্জ রেল ষ্টেশনের দক্ষিনে বাবরা রেল গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাবরা রেল গেটের গেটম্যান রুবেল মিয়া জানান, নসিমন চালক প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে পন্যবাহী নসিমন নিয়ে বকেরগাছি বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। রেল গেট অতিক্রম করার সময় নসিমন ডান পাশে মোড় নেওয়ায় গাড়িটি রেলের পাতির সঙ্গে আটকিয়ে যায়। এসময় ৩০ মিনিট ধরে আমি এবং চালক নসিমন গাড়িটি রেল লাইন থেকে সরানোর চেষ্টা করি। এদিকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের ট্রেনটি আসার সময় হয়ে যায়। এ সময় চালক মেহেদি হাসানকে নসিমন রেখে সরে যেতে বলে আমি গেট বন্ধ করে লাল পতাকা নাড়িয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্ঠা করি। ট্রেন চালকও ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু নসিমন চালক সরে না গিয়ে তখনও নসিমনের পাশ থেকে সরানোর চেষ্টা করা অবস্থায় ট্রেনে কাটা পড়ে নসিমন চালক মেহেদি হাসান দ্বি-খন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মোবারকগঞ্জের ষ্টেশন মাষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে উপজেলার বাবরা রেল গেটে এক নসিমন চালক রেলে কাটা পড়ে নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং বিষয়টি যশোর জিআরপি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























