
সালাউদ্দিন, কচুয়া (চাঁদপুর)
চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুন লেগে ১টি বসতঘর, ২টি গোয়ালঘর, ৫টি গরু ও ২টি ছাগল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধণ হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্ত আইয়ুব আলী পাটোয়ারী। গত রবিবার ( ১৭ মে) রাতে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের কাদলা গ্রামের পূর্বপাড়া চান্দার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় পরিবারটির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে গোয়াল ঘরের পাশে থাকা রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে দ্রুত আগুনের লেলিহান শিখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে ঘরের আসবাবপত্রসহ পাশের ২টি গোয়ালঘরের ৫টি গরু, ২টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের পরিধান কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই পরিবারটির। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ক্ষতিগ্রস্থ আইয়ুব আলী পাটোয়ারী জানান, রাত ১টার দিকে দেখি আমার ছেলের ঘরে আগুন জ্বলছে। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে ডাকচিৎকার দিলে আসেপাশের লোকজন ছুটে আসে।
এরমধ্যেই ঘরে থাকা সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আমার গরু, ছাগল ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র স্বর্ণালংকার, মূলবান কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন সবর্সহারিয়ে নিঃস্ব। এ অগ্নিকান্ডে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর-ই-আলম রিহাত, ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন ও মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
ফায়ারসার্ভিস স্টেশন অফিসার মাহতাব মন্ডল জানান, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে বিকাল সাড়ে ৩টায় সংবাদ লেখা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ আইয়ুব আলীর পরিবারের কেও খোঁজ খবর নেনই এমনি অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























