ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

সাহস স্কুলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার স্বাধীনতার ৫৪তম বছর। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকেই বাংলাদেশ নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে।

এদিন স্কুলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সাহস স্কুল। সকাল নটায় সকল শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে।
এরপর স্কুলের শিক্ষার্থী কর্তৃক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাহস-এর উদ্যোক্তা, লেখক ও প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন।

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় অংশ নেন অভিভাবক ও শিক্ষকগণ। বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা দেশব্যাপী ঘুমন্ত নিরীহ হাজার হাজার বাঙালিকে আক্রমণ করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। ঘরবাড়ি দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়। লুটপাট করে। মা বোনদের সম্ভ্রমহানী করে। সারা পৃথিবী এই জঘন্যতম গণহত্যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়।

এর আগে সত্তরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত গণপরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে একক মেজরিটি পার্টি হিসাবে জয়লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবী সামরিক ও অসামরিক আমলাতন্ত্র নির্বাচিত বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে টালবাহানা শুরু করে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার জনতা।

নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করি। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

বক্তারা ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রমহারা সকল মহীয়সী নারীর প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিবাদন জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার সুফল পাবার জন্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিবিসি বাংলা বিভাগ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের মধ্যে আয়োজিত উন্মুক্ত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নির্বাচিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, রোমিও কুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বশান্তির দূত, ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃত ৭ই মার্চ ভাষণের প্রবক্তা, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

সাহস স্কুলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

আপডেট সময় ০৩:০২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার স্বাধীনতার ৫৪তম বছর। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকেই বাংলাদেশ নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে।

এদিন স্কুলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সাহস স্কুল। সকাল নটায় সকল শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে।
এরপর স্কুলের শিক্ষার্থী কর্তৃক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাহস-এর উদ্যোক্তা, লেখক ও প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন।

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় অংশ নেন অভিভাবক ও শিক্ষকগণ। বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা দেশব্যাপী ঘুমন্ত নিরীহ হাজার হাজার বাঙালিকে আক্রমণ করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। ঘরবাড়ি দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়। লুটপাট করে। মা বোনদের সম্ভ্রমহানী করে। সারা পৃথিবী এই জঘন্যতম গণহত্যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়।

এর আগে সত্তরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত গণপরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে একক মেজরিটি পার্টি হিসাবে জয়লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবী সামরিক ও অসামরিক আমলাতন্ত্র নির্বাচিত বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে টালবাহানা শুরু করে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার জনতা।

নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করি। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

বক্তারা ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রমহারা সকল মহীয়সী নারীর প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিবাদন জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার সুফল পাবার জন্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিবিসি বাংলা বিভাগ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের মধ্যে আয়োজিত উন্মুক্ত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নির্বাচিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, রোমিও কুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বশান্তির দূত, ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃত ৭ই মার্চ ভাষণের প্রবক্তা, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন।