আবুতালেব মোতাহার, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের দক্ষিন চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড,বরিশাল বরাবর এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ হানিফ সহকারি অধ্যক্ষ আদমপুর কামিল মাদ্রাসা তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাবি করে গত ২২.০১.২০২৪ ইং তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের আবেদন করেন। আবেদনের আলোকে ২৪.০১.২০২৪ইং তারিখ স্মারক নং ০৫.১০.৭৮৫২.০০২.০২.০০২.২৩-৪৯ এর অফিস আদেশে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আরিফুর রহমানকে প্রিজাউডিং নিয়োগ করে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। উক্ত প্রিজাউডিং অফিসার ম্যানেজিং কমিটির গঠন তন্ত্রের নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে ভুয়া কাগজ সৃজন করিয়া এবং পরিচয়হিন অভিবাবক সদস্যের সমন্বয় ১২ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বের্ডে প্রেরন করেন। ওই কমিটিতে সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষকের পদ খালি থাকলেও বর্তমানে নাজমুনাহার নামে একজন সহকারি শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। যাহা সম্পূর্ন অবৈধ দাবি করেন বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম। তিনি আরো বলেন, মোঃ হানিফ একটি মাদ্রাসার ইনন্ডেক্সদারি শিক্ষক ও নিয়মিত মাসিক বেতন- ভাতা সরকারের টাকা উত্তোলন করেন। তার বর্তমান কর্মরত প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর এর সাথে প্রদেয় কমিটির স্বাক্ষরের মিল নাই। তার প্রধান শিক্ষক হবার কোন বিধান নেই। এই ভুয়া কমিটি বাতিল ও ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজউল করিম প্রতিবেদকে বলেন, আমি উক্ত বিদ্যালয়ে ২০১৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। মোঃ হানিফ ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি, সদস্য সচিব কখনো বা প্রধান শিক্ষক দাবি করে বিদ্যালয়ের সুনাম ও পড়াশুনার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তিনি ২৭ফেব্রুয়ারি নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে পূনরায় সদস্য সচিব হয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কমিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল প্রেরন করেন যাহা মিথ্যা তথ্যের সমন্বয় গঠন করা হয়েছে।
সাধারণ অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, কমিটির বিষয় কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে কোন সভা হয়নি বা কোন অফিসার আসেনি। এ সব হানিফ মাস্টার করছেন। সাধারণ শিক্ষক সদস্য মনিরুল ইসলাম নামে কোন শিক্ষক আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এ নামের কোন শিক্ষক নাই।
দাতা সদস্য নাছিমা বেগম বলেন, কমিটির বিষয় আমি জানি এ স্বাক্ষর আমার হানিফ মাস্টার আমাকে দাশমিনা ফোন করে নিয়ে একটি অফিসে বসে এ স্বাক্ষর নেন। মকবুল আহম্মেদ হাওলাদারের কোন সন্তান ওই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেকিনা জানতে চাইলে বলেন ২০২৩ সালে পাশ করেছে।
সাধারণ আভিভাবক সদস্য মোঃ সহিদুল বলেন, কমিটির বিষয় জানি দশমিনা একটি অফিসে হয়েছে। মহিলা শিক্ষক আছে কিনা যানতে চাইলে বলেন নাজমু নাহার নামে একজ আছেন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এসএম আরিফুর রহমান জানান, নিয়ম অনুসারে কমিটি হয়েছে। সংক্ষিত মহিলা শিক্ষক থাকার পরও কমিটিতে নাম থাকার বিষয়, সাধারন শিক্ষক সদস্য মোঃ মনির হোসেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষ নয় এবং সাধারণ অভিভাবক সদস্য মকবুল আহম্মেদ হাওলাদারের কোন সন্তান ওই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে না তাদের এই কমিটিতে কিভাবে অন্তভুক্ত করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষককে ফোন করে আপনাকে বলছি। তার পর আর ফোন দেনননি এবং ফোন করলে ধরেননি।