ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড Logo বরুড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সুবিধাবঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে সিড ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবস উদযাপন

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী গ্রাহককে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

সোনালী ব্যাংক শাখায় একজন নারী গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে যেয়ে ঐ ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার কর্তৃক লাঞ্ছনা এবং কু – প্রস্তাবের শিকার হন। ঘটনাটি ঘটে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাখায় কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন কর্তৃক। উক্ত ঘটনায় নারী গ্রাহকের স্বামী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল ব্যাংকটির ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক এর নিকট সুষ্ঠ বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের সোনালী ব্যাংক শাখায় হিসাব নং – ২৪০৭৫০১০২৯৮৩৯ এর গ্রাহক মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলনের জন্য নিজ স্বাক্ষরিত একটি চেক দিয়ে তার স্ত্রী শিলা পারভীনকে সোনালী ব্যাংকে পাঠান ১৮ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে। চেকটি নিয়ে স্ত্রী শিলা পারভীন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন এর টেবিলে গেলে চেকের পেছনে তার মোবাইল নাম্বারটি লেখে দেওয়ার জন্য বলেন।এরপর তিনি একান্ত ব্যক্তিগত নানা প্রশ্নে শিলা পারভীনকে একের পর এক বিরক্ত করতে থাকেন। এসবের কোন প্রতিউত্তর না করে সেবা প্রত্যাশী শিলা পারভীন কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্যাংক ত্যাগ করে বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে চেকের পেছনের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে চালু থাকা হটসএ্যাপ-এ সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন ফোন দিতে শুরু করেন। ফোনটি রিসিভ করলে তিনি ভিডিও কলে আসার প্রস্তাব দেন এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন ও বাজে ইঙ্গিত দেন। এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা মীর আকরাম হোসাইন কর্তৃক লাঞ্ছনা ও ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নারী গ্রাহক শিলা পারভীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা এত হীন মানসিকতার হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। উনার আচরণ রীতিমতো রাস্তার ইভটিজারদের মত ছিল। আমার সাথে ঘটা এ ধরনের আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত এবং আমি ওই কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সোনালী ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার অভিযুক্ত মীর আকরাম হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে পড়ে না। প্রতিদিন অনেক গ্রাহকে আমি সেবা দিয়ে থাকি। কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সোনালী ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ বছির আহম্মেদ বলেন, একজন গ্রাহক ও তার স্ত্রী কর্তৃক একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমার ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা জানতে ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে অভিযোগকারী গ্রাহক অসুস্থ থাকায় তদন্ত কার্যক্রমে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আমাদেরকে (ব্যাংকের সুনাম) চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সোনালী ব্যাংক একটি জাতীয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা কোনভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হতে দিতে পারিনা। অভিযোগের সত্যতা মিললে দোষী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ

SBN

SBN

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী গ্রাহককে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

সোনালী ব্যাংক শাখায় একজন নারী গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে যেয়ে ঐ ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার কর্তৃক লাঞ্ছনা এবং কু – প্রস্তাবের শিকার হন। ঘটনাটি ঘটে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাখায় কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন কর্তৃক। উক্ত ঘটনায় নারী গ্রাহকের স্বামী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল ব্যাংকটির ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক এর নিকট সুষ্ঠ বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের সোনালী ব্যাংক শাখায় হিসাব নং – ২৪০৭৫০১০২৯৮৩৯ এর গ্রাহক মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলনের জন্য নিজ স্বাক্ষরিত একটি চেক দিয়ে তার স্ত্রী শিলা পারভীনকে সোনালী ব্যাংকে পাঠান ১৮ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে। চেকটি নিয়ে স্ত্রী শিলা পারভীন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন এর টেবিলে গেলে চেকের পেছনে তার মোবাইল নাম্বারটি লেখে দেওয়ার জন্য বলেন।এরপর তিনি একান্ত ব্যক্তিগত নানা প্রশ্নে শিলা পারভীনকে একের পর এক বিরক্ত করতে থাকেন। এসবের কোন প্রতিউত্তর না করে সেবা প্রত্যাশী শিলা পারভীন কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্যাংক ত্যাগ করে বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে চেকের পেছনের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে চালু থাকা হটসএ্যাপ-এ সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর আকরাম হোসাইন ফোন দিতে শুরু করেন। ফোনটি রিসিভ করলে তিনি ভিডিও কলে আসার প্রস্তাব দেন এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন ও বাজে ইঙ্গিত দেন। এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা মীর আকরাম হোসাইন কর্তৃক লাঞ্ছনা ও ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নারী গ্রাহক শিলা পারভীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা এত হীন মানসিকতার হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। উনার আচরণ রীতিমতো রাস্তার ইভটিজারদের মত ছিল। আমার সাথে ঘটা এ ধরনের আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত এবং আমি ওই কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সোনালী ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার অভিযুক্ত মীর আকরাম হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে পড়ে না। প্রতিদিন অনেক গ্রাহকে আমি সেবা দিয়ে থাকি। কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সোনালী ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ বছির আহম্মেদ বলেন, একজন গ্রাহক ও তার স্ত্রী কর্তৃক একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমার ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা জানতে ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে অভিযোগকারী গ্রাহক অসুস্থ থাকায় তদন্ত কার্যক্রমে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আমাদেরকে (ব্যাংকের সুনাম) চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সোনালী ব্যাংক একটি জাতীয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা কোনভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হতে দিতে পারিনা। অভিযোগের সত্যতা মিললে দোষী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।