ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক

এক নারীর সাথে ভাইরাল তালতলীর সেই চার নেতার বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ মামলা

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার তালতলীতে এক নারীর সাথে চার রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি’র সাথে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চারজনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামীরা হলেন,তালতলী উপজলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচু,পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু।

বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত পুর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন চেয়ারম্যানর বিরুদ্ধ মামলা হওয়ায় উপজেলা চাঞ্চল্যের সষ্টি হয়ছ।

মামলার বিবরন সুত্রে জানাগেছে,তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচু মিয়ার সঙ্গে মামলার বাদীর কন্যার মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বাচ্চু মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দেখিয় দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করা নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। ধর্ষিতা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় এবং বিভিন স্হানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষিতার অজান্তে গোপনে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মামলার ২ নং আসামী পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাকও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারন করে রাখে। পরে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওই কন্যাকে ব্লাকমেইল করেন এবং তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলত বাধ্য করে। তার কথা না শুনল তাকে জীবন নাশের হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গেও দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও ওই কন্যাকে বিভিন্ন হোটেল ও লঞ্চে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করছে বলে দাবী করেন মামলার বাদী। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করবো বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই মামলার ধর্ষিতা জেল হাজতে রয়েছ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু,পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমুলুক এ মামলা দায়ের করছে।এ ঘটনার সঙ্গে আমি ও অন্য দুই চেয়ারম্যানর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাব মোকাবেলা করবো।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ আনিচুর রহমান মিলন বলন,আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস

SBN

SBN

এক নারীর সাথে ভাইরাল তালতলীর সেই চার নেতার বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ মামলা

আপডেট সময় ০৫:১৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার তালতলীতে এক নারীর সাথে চার রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি’র সাথে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চারজনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামীরা হলেন,তালতলী উপজলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচু,পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু।

বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত পুর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন চেয়ারম্যানর বিরুদ্ধ মামলা হওয়ায় উপজেলা চাঞ্চল্যের সষ্টি হয়ছ।

মামলার বিবরন সুত্রে জানাগেছে,তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচু মিয়ার সঙ্গে মামলার বাদীর কন্যার মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বাচ্চু মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দেখিয় দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করা নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। ধর্ষিতা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় এবং বিভিন স্হানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষিতার অজান্তে গোপনে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মামলার ২ নং আসামী পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাকও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারন করে রাখে। পরে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওই কন্যাকে ব্লাকমেইল করেন এবং তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলত বাধ্য করে। তার কথা না শুনল তাকে জীবন নাশের হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গেও দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও ওই কন্যাকে বিভিন্ন হোটেল ও লঞ্চে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করছে বলে দাবী করেন মামলার বাদী। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করবো বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই মামলার ধর্ষিতা জেল হাজতে রয়েছ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু,পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমুলুক এ মামলা দায়ের করছে।এ ঘটনার সঙ্গে আমি ও অন্য দুই চেয়ারম্যানর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাব মোকাবেলা করবো।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ আনিচুর রহমান মিলন বলন,আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছন।