ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‘সোনার সংসার’ শুধু একটি নাটক নয়— এটি এক আয়না Logo পায়েল বিশ্বাস এর কবিতা Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের

দ: চীন সাগরকে শান্তির সাগরে পরিণত করতে আঞ্চলিক দেশগুলোকে কাজ করতে হবে

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • ২০০ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবী পরিবর্তনের সামনে বিভিন্ন দেশের উচিত সমানভাবে যোগদান করা, আন্তরিক বিনিময় করা, স্বচ্ছ আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতার নতুন অবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য চীন ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে।

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তুং চুন শাংরিলা সংলাপে ‘চীনের বিশ্ব নিরাপত্তা ধারণার’ বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একথা বলেছেন। তাঁর প্রস্তাবগুলো হলো-
প্রথমত, বিভিন্ন দেশের বৈধ নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করা উচিত। চীন বরাবরের মতো উন্নয়নশীল দেশের ন্যায্যতার পক্ষে দাঁড়াবে এবং সমানভাবে বিভিন্ন নিরাপত্তা পরিচালনায় যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

দ্বিতীয়ত, একটি ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে একসাথে কাজ করতে হবে। চীন মনে করে, বিশ্বে একটিই ব্যবস্থা রয়েছে, তা হলো জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা। শুধুমাত্র একটি শৃঙ্খলা আছে, তা হল আন্তর্জাতিক আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা।

তৃতীয়ত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে ভূমিকা পালন করা উচিত। চীন সমর্থন করে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা সমুন্নত রাখতে হবে। বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, আসিয়ান-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো ও ব্যবস্থা যুক্তিসঙ্গত, কার্যকর ও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

চতুর্থত, উন্মুক্ত ও বাস্তবসম্মত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রচার করা উচিত। সহযোগিতা পারস্পরিক কল্যাণের এবং উভয়ের বিজয়ের লক্ষ্যে হওয়া উচিত, প্রাসঙ্গিক দেশগুলোকে তাদের রঙিন চশমা খুলতে হবে, তাদের অহংকার ও কুসংস্কার সরিয়ে রেখে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে অকপট আচরণ করতে হবে।

পঞ্চমত, সমুদ্রে নিরাপত্তা সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। চীন আশা করে যে, কিছু দেশ সংলাপ ও পরামর্শের সঠিক পথে ফিরে আসবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সাগরে পরিণত করতে আঞ্চলিক দেশগুলোকে কাজ করতে হবে।

ষষ্ঠত, নতুন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। চীন শান্তি, উন্নয়ন, সার্বজনীন সুবিধা এবং সহ-শাসনের নীতি মেনে চলবে, সক্রিয়ভাবে বিশ্ব ডেটা নিরাপত্তা উদ্যোগ, বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে, নতুন ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যাপক নিরাপত্তা সংলাপ পরিচালনা করবে, যৌথভাবে শাসনবিধি প্রতিষ্ঠা ও উন্নত করবে। চীন পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ ও চাহিদার প্রতিফলন করবে, সব দেশের মানুষের উপকারে নতুন প্রযুক্তি প্রচার করবে।

সূত্র:শুয়েই-তৌহিদ-আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘সোনার সংসার’ শুধু একটি নাটক নয়— এটি এক আয়না

SBN

SBN

দ: চীন সাগরকে শান্তির সাগরে পরিণত করতে আঞ্চলিক দেশগুলোকে কাজ করতে হবে

আপডেট সময় ১০:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

পৃথিবী পরিবর্তনের সামনে বিভিন্ন দেশের উচিত সমানভাবে যোগদান করা, আন্তরিক বিনিময় করা, স্বচ্ছ আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতার নতুন অবস্থা গড়ে তোলা। এ জন্য চীন ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে।

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তুং চুন শাংরিলা সংলাপে ‘চীনের বিশ্ব নিরাপত্তা ধারণার’ বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একথা বলেছেন। তাঁর প্রস্তাবগুলো হলো-
প্রথমত, বিভিন্ন দেশের বৈধ নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করা উচিত। চীন বরাবরের মতো উন্নয়নশীল দেশের ন্যায্যতার পক্ষে দাঁড়াবে এবং সমানভাবে বিভিন্ন নিরাপত্তা পরিচালনায় যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

দ্বিতীয়ত, একটি ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে একসাথে কাজ করতে হবে। চীন মনে করে, বিশ্বে একটিই ব্যবস্থা রয়েছে, তা হলো জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা। শুধুমাত্র একটি শৃঙ্খলা আছে, তা হল আন্তর্জাতিক আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা।

তৃতীয়ত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে ভূমিকা পালন করা উচিত। চীন সমর্থন করে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা সমুন্নত রাখতে হবে। বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, আসিয়ান-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো ও ব্যবস্থা যুক্তিসঙ্গত, কার্যকর ও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

চতুর্থত, উন্মুক্ত ও বাস্তবসম্মত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রচার করা উচিত। সহযোগিতা পারস্পরিক কল্যাণের এবং উভয়ের বিজয়ের লক্ষ্যে হওয়া উচিত, প্রাসঙ্গিক দেশগুলোকে তাদের রঙিন চশমা খুলতে হবে, তাদের অহংকার ও কুসংস্কার সরিয়ে রেখে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে অকপট আচরণ করতে হবে।

পঞ্চমত, সমুদ্রে নিরাপত্তা সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। চীন আশা করে যে, কিছু দেশ সংলাপ ও পরামর্শের সঠিক পথে ফিরে আসবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সাগরে পরিণত করতে আঞ্চলিক দেশগুলোকে কাজ করতে হবে।

ষষ্ঠত, নতুন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। চীন শান্তি, উন্নয়ন, সার্বজনীন সুবিধা এবং সহ-শাসনের নীতি মেনে চলবে, সক্রিয়ভাবে বিশ্ব ডেটা নিরাপত্তা উদ্যোগ, বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে, নতুন ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যাপক নিরাপত্তা সংলাপ পরিচালনা করবে, যৌথভাবে শাসনবিধি প্রতিষ্ঠা ও উন্নত করবে। চীন পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ ও চাহিদার প্রতিফলন করবে, সব দেশের মানুষের উপকারে নতুন প্রযুক্তি প্রচার করবে।

সূত্র:শুয়েই-তৌহিদ-আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।