
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কৃষি কার্যক্রম যান্ত্রিকীকরণ ও কম সময়ে চারা রোপণের জন্য আউশ মৌসুমে প্রথমবারের মত কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের সূচনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার পাভেল খান পাপ্পু। আরো বক্তব্য রাখেন মুরাদনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নূরে আলম ও টনকি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়ূবুর রহমান তুহিন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা সূফি আহম্মেদ, এখলাছুর রহমান, সাইদুর রহমান, আতিকুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, কৃষক মাসুম মিয়া প্রমূখ।
এসময় কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধান রোপণ করলে প্রতি ঘণ্টায় ১ জন শ্রমিকের মাধ্যমে ১ বিঘা জমিতে চারা রোপন করা যায়। এভাবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টায় ৮ বিঘা জমি চাষ করলে খরচ ও অর্থের অপচয় কমে যাবে। সনাতন পদ্ধতিতে ৮ বিঘা জমিতে ৩৫ জন শ্রমিক লাগবে। খরচ তিনগুণ বেশি হবে। স্থানীয় কৃষকেরা কৃষি অফিসের সহায়তায় এই এলাকায় প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতির চাষ শুরু করেছে। এতে করে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম লাগবে। উৎপাদনও হবে বেশি। এতে লাভবান হবেন কৃষকেরা।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























