স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার বরুড়ায় এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করে আবার আলোচনায় সেই খলিল চেয়ারম্যান।
বরুড়ায় চেয়ারম্যান খলিলের এর বিরুদ্ধে বিদ্যায়ের বহিরাগত লোকজন নিয়ে
মহিলা করার অভিযোগ
বরুড়া প্রতিনিধি
উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনা আক্তার কে হুমকি ধমকি ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহন করার কারনে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পযন্ত বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম চলমান রাখতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সিনিয়ারিটি অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহিনা আক্তার কে।
বিষয় টি ভালো চোখে দেখতে পারছেন না ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান, কারন বিদ্যালয়টি তার হাতের কব্জায় নেই।
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনা আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান গত ৫ মে আনুমানি সকাল পৌনে ১১টার সময় বহিরাগত লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেই আমাকে উদ্দেশ্য করে উত্তেজিত হয়ে
অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করেতে থাকে। এসময় তিনি জোরপূর্ব অফিসের বিভিন্ন তথ্য দিতে বলেন। এছাড়াও নানান ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন।
প্রকাশ্যে এভাবে আমাকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে নাজেহাল করেন। এতে আমি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি।
চেয়ারম্যান পাশের উপজেলা মুরাদনগরের একাধিক মামলার আসামি প্রিয়া নামের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে অফিস কক্ষে ডুকে
ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন। এতে করে বিদ্যালয়ের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
একজন জনপ্রতিনিধির এমনকাণ্ডে বর্তমানে আমি শংকিত ও আতঙ্কিত।
চেয়ারম্যান বিদ্যালয়টি তার আয়ত্তে আনতে তার দলবল নিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে হয়রানি করার পায়তারা চালাচ্ছে।
এছাড়াও চেয়ারম্যান এর স্ত্রীর বড় ভাই এই বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সটেক্টর আবদুল আল মাছুম ও তার স্ত্রী আইসিটি বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে।
বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
চেয়ারম্যান যে কোন সময় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করা, এমনকি হামলা করতে পারে বলে আশংকা করছি।
বিষয় টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি,
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
এবিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য এর আগে তার কোমরে পিস্তল রাখা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি আলোচনায় আসেন।