ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক

বরুড়ায় জ্বলাবদ্বতা বৃদ্বি : খাল খনন ও খাস জমি উদ্ধারের দাবী

ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা ৩৩৫ টি গ্রাম ও ৯৩ বর্গমাইল নিয়ে বরুড়া উপজেলা গঠিত। সারা উপজেলা ঘিরে খাল রয়েছে। দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন বাড়ি ঘর নির্মান করতে গিয়ে বাড়ির পাশে ঘড় ও নালা গুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে। ১ নং খতিয়ান খাস ভুমি খাল বরুড়া কুমিল্লা বরুড়া সড়কের পাশ দিয়ে পৌরসভার লতিফপুর হয়ে জিনসার মৌলভীবাজার দিয়ে পাঠান পাড়ার ভেতর দিয়ে থানার পশ্চিম পাশ হয়ে মালি বাড়ির পাশে কালভার্ট হয়ে একটি পৌর অফিসের পূর্ব দিক দিয়ে পুরানকাদবা গিয়েছে। আরেকটি মালি বাড়ির পেছন দিক দিয়ে তলাগ্রাম দিয়ে দেওড়া হয়ে শশাইয়া কার্জনখালে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে।
আরেকটি থানার দক্ষিণ দিক দিয়ে পাচপুকুরিয়া হয়ে লক্ষীপুর গিয়ে কার্জনখালে গিয়ে যোগ হয়েছে।

আজ থেকে ৪০ বছর আগে ও নৌকা দিয়ে বরুড়া মধ্যে বাজার ও পশ্চিম বাজার ধান চাউল, পাট ইত্যাদি মালামাল নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। সৌদিয়া হোটল ও সুপার স্টার হোটেল এর সামনে তৎকালীন নৌকার ঘাট ছিলো। এরশাদ সরকারের আমলে তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন খালটি ভরাট করে মিলন রোড বা নতুন রোড তৈরী করেন।

কালের বির্বতনে বরুড়ার সৌন্দর্য হারিয়ে শুরু হয়ে গেছে জলাবদ্ধতা। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। পৌরসভার বাহিরে খাল খনন হলেও এই পর্যন্ত একে বারের জন্য ও পৌরসভার ভেতরের খাল গুলো খনন করা হয়নি। পক্ষান্তরে উল্টো খাল গুলো দখল করে সন্কোচিত করে ফেলেছে। এখন একাধারে দু চার ঘন্টা বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়, বসত ঘরে পানি উঠে যায়। কলেজ স্কুলের মাঠ গুলো অনেক দিন পানির নীচে থাকে।
নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আসেন আর যান। কেহই চিন্তা করছেনা কিভাবে বরুড়া বাজার সহ এই গ্রাম টি কে সুন্দর করা যায় এই ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন বরুড়া বাজারে এক ব্যবসায়ী।

বরুড়া নামে বরুড়া উপজেলা। বরুড়া হবে আয়না। অথচ দায়িত্বশীলরা এটাকে আয়না না ভেবে বিচরণ ভূমি ভাবছে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে৷ কে নেবে তাদের দায়িত্ব এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ও মন্তব্য করেন। পৌরসভায় বহুতল ভবন নির্মান হচ্ছে। কেহ একটু জায়গা ছাড়তে রাজী নয়। নিজের সুবিধা টুকু নিজেরাই বুঝতে চেনা। পৌরসভার দায়িত্ব শীল যারা আছেন তারাইবা কতোটুকু দায়িত্ব পালন করছেন এটা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে দিবালোকের মতোন পরিস্কার।
বরুড়া গ্রামের ইশতিয়াক আহমদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্ব শীল হতে হবে। পাশাপাশি আমরা যারা পৌর নাগরিক আছি আমরা ও বিল্ডিং করতে জায়গা ছেড়ে বিল্ডিং করতে হবে। দুইয়ের সমন্বয় হলে বরুড়া পৌরসভা টি সুন্দর হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই

SBN

SBN

বরুড়ায় জ্বলাবদ্বতা বৃদ্বি : খাল খনন ও খাস জমি উদ্ধারের দাবী

আপডেট সময় ০৯:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা ৩৩৫ টি গ্রাম ও ৯৩ বর্গমাইল নিয়ে বরুড়া উপজেলা গঠিত। সারা উপজেলা ঘিরে খাল রয়েছে। দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন বাড়ি ঘর নির্মান করতে গিয়ে বাড়ির পাশে ঘড় ও নালা গুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে। ১ নং খতিয়ান খাস ভুমি খাল বরুড়া কুমিল্লা বরুড়া সড়কের পাশ দিয়ে পৌরসভার লতিফপুর হয়ে জিনসার মৌলভীবাজার দিয়ে পাঠান পাড়ার ভেতর দিয়ে থানার পশ্চিম পাশ হয়ে মালি বাড়ির পাশে কালভার্ট হয়ে একটি পৌর অফিসের পূর্ব দিক দিয়ে পুরানকাদবা গিয়েছে। আরেকটি মালি বাড়ির পেছন দিক দিয়ে তলাগ্রাম দিয়ে দেওড়া হয়ে শশাইয়া কার্জনখালে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে।
আরেকটি থানার দক্ষিণ দিক দিয়ে পাচপুকুরিয়া হয়ে লক্ষীপুর গিয়ে কার্জনখালে গিয়ে যোগ হয়েছে।

আজ থেকে ৪০ বছর আগে ও নৌকা দিয়ে বরুড়া মধ্যে বাজার ও পশ্চিম বাজার ধান চাউল, পাট ইত্যাদি মালামাল নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। সৌদিয়া হোটল ও সুপার স্টার হোটেল এর সামনে তৎকালীন নৌকার ঘাট ছিলো। এরশাদ সরকারের আমলে তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন খালটি ভরাট করে মিলন রোড বা নতুন রোড তৈরী করেন।

কালের বির্বতনে বরুড়ার সৌন্দর্য হারিয়ে শুরু হয়ে গেছে জলাবদ্ধতা। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। পৌরসভার বাহিরে খাল খনন হলেও এই পর্যন্ত একে বারের জন্য ও পৌরসভার ভেতরের খাল গুলো খনন করা হয়নি। পক্ষান্তরে উল্টো খাল গুলো দখল করে সন্কোচিত করে ফেলেছে। এখন একাধারে দু চার ঘন্টা বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়, বসত ঘরে পানি উঠে যায়। কলেজ স্কুলের মাঠ গুলো অনেক দিন পানির নীচে থাকে।
নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আসেন আর যান। কেহই চিন্তা করছেনা কিভাবে বরুড়া বাজার সহ এই গ্রাম টি কে সুন্দর করা যায় এই ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন বরুড়া বাজারে এক ব্যবসায়ী।

বরুড়া নামে বরুড়া উপজেলা। বরুড়া হবে আয়না। অথচ দায়িত্বশীলরা এটাকে আয়না না ভেবে বিচরণ ভূমি ভাবছে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে৷ কে নেবে তাদের দায়িত্ব এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ও মন্তব্য করেন। পৌরসভায় বহুতল ভবন নির্মান হচ্ছে। কেহ একটু জায়গা ছাড়তে রাজী নয়। নিজের সুবিধা টুকু নিজেরাই বুঝতে চেনা। পৌরসভার দায়িত্ব শীল যারা আছেন তারাইবা কতোটুকু দায়িত্ব পালন করছেন এটা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে দিবালোকের মতোন পরিস্কার।
বরুড়া গ্রামের ইশতিয়াক আহমদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্ব শীল হতে হবে। পাশাপাশি আমরা যারা পৌর নাগরিক আছি আমরা ও বিল্ডিং করতে জায়গা ছেড়ে বিল্ডিং করতে হবে। দুইয়ের সমন্বয় হলে বরুড়া পৌরসভা টি সুন্দর হবে।