ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় ইয়াবা ও গাজা সহ আটক-১ Logo বাগেরহাটে ইয়াবা’সহ আটক -১ Logo লাকসাম গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবীতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo বিভাগের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন Logo ছিনতাইকারীর হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা পার্থ আহত Logo ঝিনাইদহে বিড়াল হত্যার ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার -২ Logo কালীগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব আলী’র মৃত্যু Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন

সিলেটের প্রধান দুই নদীর ড্রেজিং প্রকল্পের ফাইল বন্ধী : দেখার কেউ নেই

সিলেট সংবাদদাতা

সিরেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ার ড্রেজিং প্রকল্প দীর্ঘ দিন ধরে ফাইল বন্ধী হয়ে আছে। এ প্রকল্পে নদী ৪ দশমিক ৩ মিটার গভীর ও ৯০ মিটার প্রস্থ করে খনন হবে জানা গেলেও বিগত চার চার বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সুরমা কুশিয়ারা ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প।

বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানিয়েছে, ৫ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পে এক সঙ্গে ১৮টি নদী খননের কথা রয়েছে। প্রকল্পে সুরমা নদী ৪ দশমিক ৩ মিটার গভীর ও ৯০ মিটার প্রস্থ করে খনন হবে। আর এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালের পর থেকে সিলেট অঞ্চলে পর পর কয়েক দফা বন্যায় সিলেট নগরীসহ জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হবার পেছনে সুরমা-কুশিয়ারা ভরাট হওয়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) আ স ম মাশরেকুল আরেফিন জানান, সিলেট অঞ্চলের প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ মোট ১৮টি নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ প্রকল্প গ্রহণ করে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটির অনাপত্তিপত্রের জন্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র আসার পরপরই এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্ল্যানিং কমিশনের অনুমোদনের পরে একনেকে উত্থাপন এবং পাস করা হবে। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিলেট অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা ফিরে আসবে। বিআইডব্লিউটিএর বিশেষজ্ঞ টিম সরেজমিন স্টাডি করার পরে প্রকল্পটি প্রস্তত করা হয়।

২০২২ (বাইশের) বন্যার পর সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ড্রেজিং নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলেও প্রকল্পটির কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ সিলেট অঞ্চলের মানুষ। সময় মতো ড্রেজিং না করায় আবার ২০২৪ইং বন্যার তীব্রতা ধারণ করে।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী, কালনী নদী, যাদুকাটা নদী, রক্তি নদী, বৌলাই নদী, মনু নদী, পুরাংগী নদী, জুমনাল খাল নদী, খোয়াই নদী, সুতাং নদী, বেলেশ্বরি খাল নদী, তিতাস নদী, পাগলা নদী, বুড়ি নদী, মোগড়া নদী, কংশ নদী ও আপার মেঘনা নদী খননের লক্ষ্যে ২০২০ সালে বিআইডব্লিউটি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা সরেজমিনে স্টাডি করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তত করেন। এরপর ২০২১ সালে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি সংশোধন করে দিতে কিছু নোট দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ- তে ফেরত পাঠায়। ২০২২ সালের শুরুর দিকে সংশোধন করে পুনরায় প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার প্রকল্পটি সংশোধন করতে বিআইডব্লিউটিএতে ফেরত আসে।

এ ভাবে একের পর এক নানা জড়িলতায় ৪ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে কিন্তু নদী খননতো দুরের কথা সিলেটের সাধারণ মানুষ প্রকল্পের বাস্তবতার আলোর মুখই দেখ না।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় ইয়াবা ও গাজা সহ আটক-১

SBN

SBN

সিলেটের প্রধান দুই নদীর ড্রেজিং প্রকল্পের ফাইল বন্ধী : দেখার কেউ নেই

আপডেট সময় ১২:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা

সিরেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ার ড্রেজিং প্রকল্প দীর্ঘ দিন ধরে ফাইল বন্ধী হয়ে আছে। এ প্রকল্পে নদী ৪ দশমিক ৩ মিটার গভীর ও ৯০ মিটার প্রস্থ করে খনন হবে জানা গেলেও বিগত চার চার বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সুরমা কুশিয়ারা ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প।

বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানিয়েছে, ৫ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পে এক সঙ্গে ১৮টি নদী খননের কথা রয়েছে। প্রকল্পে সুরমা নদী ৪ দশমিক ৩ মিটার গভীর ও ৯০ মিটার প্রস্থ করে খনন হবে। আর এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালের পর থেকে সিলেট অঞ্চলে পর পর কয়েক দফা বন্যায় সিলেট নগরীসহ জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হবার পেছনে সুরমা-কুশিয়ারা ভরাট হওয়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) আ স ম মাশরেকুল আরেফিন জানান, সিলেট অঞ্চলের প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ মোট ১৮টি নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ প্রকল্প গ্রহণ করে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটির অনাপত্তিপত্রের জন্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র আসার পরপরই এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্ল্যানিং কমিশনের অনুমোদনের পরে একনেকে উত্থাপন এবং পাস করা হবে। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিলেট অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা ফিরে আসবে। বিআইডব্লিউটিএর বিশেষজ্ঞ টিম সরেজমিন স্টাডি করার পরে প্রকল্পটি প্রস্তত করা হয়।

২০২২ (বাইশের) বন্যার পর সিলেটের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ড্রেজিং নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলেও প্রকল্পটির কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ সিলেট অঞ্চলের মানুষ। সময় মতো ড্রেজিং না করায় আবার ২০২৪ইং বন্যার তীব্রতা ধারণ করে।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী, কালনী নদী, যাদুকাটা নদী, রক্তি নদী, বৌলাই নদী, মনু নদী, পুরাংগী নদী, জুমনাল খাল নদী, খোয়াই নদী, সুতাং নদী, বেলেশ্বরি খাল নদী, তিতাস নদী, পাগলা নদী, বুড়ি নদী, মোগড়া নদী, কংশ নদী ও আপার মেঘনা নদী খননের লক্ষ্যে ২০২০ সালে বিআইডব্লিউটি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা সরেজমিনে স্টাডি করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তত করেন। এরপর ২০২১ সালে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি সংশোধন করে দিতে কিছু নোট দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ- তে ফেরত পাঠায়। ২০২২ সালের শুরুর দিকে সংশোধন করে পুনরায় প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার প্রকল্পটি সংশোধন করতে বিআইডব্লিউটিএতে ফেরত আসে।

এ ভাবে একের পর এক নানা জড়িলতায় ৪ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে কিন্তু নদী খননতো দুরের কথা সিলেটের সাধারণ মানুষ প্রকল্পের বাস্তবতার আলোর মুখই দেখ না।