ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২৪তম শীর্ষসম্মেলনে সি চিন পিং

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

কাজাখস্তানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আস্তানার স্বাধীনতা প্রাসাদে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২৪তম শীর্ষসম্মেলনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।

ভাষণে জনাব সি কাজাখস্তানকে পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র হিসেবে এসসিও’র ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রশংসা করেন। তিনি বেলারুশকে প্রথমবারের মত সদস্য দেশ হিসেবে এসসিও’র শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণে স্বাগত জানান।

সি বলেন, এসসিও’র সদস্য দেশগুলো শান্তি ও উন্নয়ন অনুসরণ করে, প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত করে এবং নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গঠনের চেষ্টা করে। ‘শাংহাই চেতনা’ সদস্য দেশগুলোর অভিন্ন মূল্যবোধ ও কর্মধারায় পরিণত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, শীতল যুদ্ধের মানসিকতার বাস্তব হুমকির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার বটমলাইন রক্ষা করতে হবে। এতে যৌথ, বহুমুখী, সহযোগিতামূলক এবং অবিরাম উন্নয়নের ধারণা কাজে লাগিয়ে সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে; যাতে পারস্পরিক কল্যাণকর চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমন্বিতভাবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যৌথভাবে স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা যায়।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরে সদস্য দেশগুলোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। ‘শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বড় পরিবারের’ মধ্যে রয়েছে তিনটি মহাদেশ, সদস্যসংখ্যাও বেড়েছে এবং সহযোগিতার ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি জোরদার হচ্ছে এবং মানবসমাজ আবারও ইতিহাসের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়েছে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ইতিহাসের সঠিক দিক এবং ন্যায্য দিকে দাঁড়ালে বিশ্বের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তি মেনে চলে যৌথভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন উন্নত করা, শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীল ও বাধাহীন সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ শক্তি উন্মোচন করতে হবে। যাতে অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যায়।

ভাষণে সি বলেন, আমাদের যৌথভাবে বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে হবে, দৃঢ়ভাবে পরস্পরকে সমর্থন, পারস্পরিক যত্ন নেওয়া, অভ্যন্তরীণ মতভেদ মোকাবিলা করা এবং নিজ দেশের ভাগ্য, আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়ন সংযুক্ত করে নিজের হাতে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।

সম্মেলন থেকে সদস্য দেশগুলোর নেতারা ‘এসসিও সদস্য দেশের নেতাদের পরিষদের আস্তানা ঘোষণা’ প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলারুশকে সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চীন ২০২৪-২০২৫ সালে সংস্থাটির পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
সূত্র: উর্মি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বুড়িচংয়ে রেললাইন থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২৪তম শীর্ষসম্মেলনে সি চিন পিং

আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

কাজাখস্তানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আস্তানার স্বাধীনতা প্রাসাদে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২৪তম শীর্ষসম্মেলনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।

ভাষণে জনাব সি কাজাখস্তানকে পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র হিসেবে এসসিও’র ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রশংসা করেন। তিনি বেলারুশকে প্রথমবারের মত সদস্য দেশ হিসেবে এসসিও’র শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণে স্বাগত জানান।

সি বলেন, এসসিও’র সদস্য দেশগুলো শান্তি ও উন্নয়ন অনুসরণ করে, প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত করে এবং নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গঠনের চেষ্টা করে। ‘শাংহাই চেতনা’ সদস্য দেশগুলোর অভিন্ন মূল্যবোধ ও কর্মধারায় পরিণত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, শীতল যুদ্ধের মানসিকতার বাস্তব হুমকির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার বটমলাইন রক্ষা করতে হবে। এতে যৌথ, বহুমুখী, সহযোগিতামূলক এবং অবিরাম উন্নয়নের ধারণা কাজে লাগিয়ে সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে; যাতে পারস্পরিক কল্যাণকর চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমন্বিতভাবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যৌথভাবে স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা যায়।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরে সদস্য দেশগুলোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। ‘শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বড় পরিবারের’ মধ্যে রয়েছে তিনটি মহাদেশ, সদস্যসংখ্যাও বেড়েছে এবং সহযোগিতার ভিত্তি আরও দৃঢ় হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি জোরদার হচ্ছে এবং মানবসমাজ আবারও ইতিহাসের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়েছে। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ইতিহাসের সঠিক দিক এবং ন্যায্য দিকে দাঁড়ালে বিশ্বের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তি মেনে চলে যৌথভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন উন্নত করা, শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীল ও বাধাহীন সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ শক্তি উন্মোচন করতে হবে। যাতে অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যায়।

ভাষণে সি বলেন, আমাদের যৌথভাবে বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে হবে, দৃঢ়ভাবে পরস্পরকে সমর্থন, পারস্পরিক যত্ন নেওয়া, অভ্যন্তরীণ মতভেদ মোকাবিলা করা এবং নিজ দেশের ভাগ্য, আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়ন সংযুক্ত করে নিজের হাতে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।

সম্মেলন থেকে সদস্য দেশগুলোর নেতারা ‘এসসিও সদস্য দেশের নেতাদের পরিষদের আস্তানা ঘোষণা’ প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলারুশকে সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চীন ২০২৪-২০২৫ সালে সংস্থাটির পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
সূত্র: উর্মি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।