ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের হাটপাচিলে নদী-খনন প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়নের বোর্ডের ৬৫০ কো‌টি টাকার নদী-খনন প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে হাট পাঁচিল গ্রা‌মের প্রায় শতাধিক নদী ভাঙন কবলিত মানুষ।

শনিবার শাহজাদপুরের হাটপাচিল এলাকা থেকে ব্রাহ্মণ গ্রামের নদীপা‌ড়ের গৃহহীন অসহায় পরিবার এই মানববন্ধন‌ে অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে এলাকার সমাজসেবক মোঃ রজব আলীর আহবানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামাল, ইয়াসিন সরকার, হাজী আয়নাল হক।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর, শাহজাদপুর এলাকাটি এখন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে উঠে যেতে বসেছে, শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ৬৫০ কোটি টাকা নদী খননের জন্য প্রকল্পের বরাদ্দ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নানা অনিয়ম করে বেড়াচ্ছে। তারা শুকনো মৌসুমে কোন কাজ না করে বর্ষার মৌসুমী নদী ভাঙ্গনের সময় নাম মাত্র জিও ব্যাগ ফে‌লে টাকাগুলো নদীর জলে ফেলে দিচ্ছে।

পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের নানা অনিয়ম আর বরদাস্ত করা হবে না।

যারা নদী ভাঙ্গনের কব‌লে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের অবিলম্বে তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।

এ সময় সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়েন ইসলাম নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে ব্যক্তিগত তহিবল থেকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন।

ডানতীর রক্ষার কাজ যেনো দ্রুতগতিতে করা যায়, সে বিষয়ে তিনি কথা বলবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করবেন।

উল্লেখ্য যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পা‌নি বন্ধী হয়ে পড়েছে।

এসকল এলাকার রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, বসতভিটায় পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন অর্ধলক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৪০৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার। গত ৬ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, কাজিপুরের পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৯ মিটার। যা বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জের হাটপাচিলে নদী-খনন প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:২৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়নের বোর্ডের ৬৫০ কো‌টি টাকার নদী-খনন প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে হাট পাঁচিল গ্রা‌মের প্রায় শতাধিক নদী ভাঙন কবলিত মানুষ।

শনিবার শাহজাদপুরের হাটপাচিল এলাকা থেকে ব্রাহ্মণ গ্রামের নদীপা‌ড়ের গৃহহীন অসহায় পরিবার এই মানববন্ধন‌ে অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে এলাকার সমাজসেবক মোঃ রজব আলীর আহবানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামাল, ইয়াসিন সরকার, হাজী আয়নাল হক।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর, শাহজাদপুর এলাকাটি এখন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে উঠে যেতে বসেছে, শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ৬৫০ কোটি টাকা নদী খননের জন্য প্রকল্পের বরাদ্দ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নানা অনিয়ম করে বেড়াচ্ছে। তারা শুকনো মৌসুমে কোন কাজ না করে বর্ষার মৌসুমী নদী ভাঙ্গনের সময় নাম মাত্র জিও ব্যাগ ফে‌লে টাকাগুলো নদীর জলে ফেলে দিচ্ছে।

পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের নানা অনিয়ম আর বরদাস্ত করা হবে না।

যারা নদী ভাঙ্গনের কব‌লে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের অবিলম্বে তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।

এ সময় সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়েন ইসলাম নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে ব্যক্তিগত তহিবল থেকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন।

ডানতীর রক্ষার কাজ যেনো দ্রুতগতিতে করা যায়, সে বিষয়ে তিনি কথা বলবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করবেন।

উল্লেখ্য যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পা‌নি বন্ধী হয়ে পড়েছে।

এসকল এলাকার রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, বসতভিটায় পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন অর্ধলক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৪০৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার। গত ৬ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, কাজিপুরের পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৯ মিটার। যা বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।