ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই এলাকার মৃত্যু সেরাজ মোল্লার ছেলে পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী রহিম মোল্লা (৪৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ জানা যায়,গতকাল ১৮ই জুলাই সকালে ঐ ছাত্রী মাদ্রাসার ক্লাস শেষে বের হলে রহিম মোল্লা ওকে ডেকে নেয়। তারপর ওকে চকলেট কিনে ও পঞ্চাশটি টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে একটি খালী দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং একথা কাউকে বললে ওকে সহ ওর বোন ফারজানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।ধর্ষণের বিষয়টি বিষয়টি ওর বোন ফারজানা জানতে পেরে ওকে চাপ দেয়। পরে ধর্ষিতা ধর্ষনের কথা স্বীকার করলে ওর বোন ভগ্নিপতি সহ আত্মীয় স্বজনরা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমতলী হাসপাতালে বসেই কথা হয় ধর্ষিতা ও বোনের সাথে। কান্নায় ধর্ষিতা মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। তবুও ওর বক্তব্য নেওয়ার সময়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত রহিম মোল্লা মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষন করলেও ওকে সহ বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কারনে পরিবার সহ কাউকে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়নি। ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রীর বাবা-মা শারীরিক ভাবে পঙ্গু এবং তাদের বিছানায়ই থাকতে হয়। এই পরিবারের সকলকে বোন ফারজানা পরিচালনা করে থাকে।

আমতলী হাসপাতালে বসে ধর্ষিতার বোন ফারজানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে ঐ মেয়েকে জিজ্ঞাস্য করলে প্রথমে ভয়তে ও কিছু বলতে পারবেনা বলার পর লাঠিসোটা হাতে নিলে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। এরপর ধর্ষিতাকে স্বজনরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।বোন ফারজানা আরও জানান, এর আগেও রহিম মোল্লা তার বোনকে আরও কয়েকবার ধর্ষন করেছে কিন্তু ধর্ষিতা ও বোনকে মেরে ফেলার ভয়তে কাউকে এ কথা জানায়নি।

আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক আঃ রহিম বলেন,খবর পেয়ে আমি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যাই এখনো এখানেই আছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে ফারজানা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব না থাকায় জেলা শহর বরগুনার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তে প্রেরণ করা হয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই রহিম মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

আপডেট সময় ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই এলাকার মৃত্যু সেরাজ মোল্লার ছেলে পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী রহিম মোল্লা (৪৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ জানা যায়,গতকাল ১৮ই জুলাই সকালে ঐ ছাত্রী মাদ্রাসার ক্লাস শেষে বের হলে রহিম মোল্লা ওকে ডেকে নেয়। তারপর ওকে চকলেট কিনে ও পঞ্চাশটি টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে একটি খালী দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং একথা কাউকে বললে ওকে সহ ওর বোন ফারজানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।ধর্ষণের বিষয়টি বিষয়টি ওর বোন ফারজানা জানতে পেরে ওকে চাপ দেয়। পরে ধর্ষিতা ধর্ষনের কথা স্বীকার করলে ওর বোন ভগ্নিপতি সহ আত্মীয় স্বজনরা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমতলী হাসপাতালে বসেই কথা হয় ধর্ষিতা ও বোনের সাথে। কান্নায় ধর্ষিতা মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। তবুও ওর বক্তব্য নেওয়ার সময়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত রহিম মোল্লা মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষন করলেও ওকে সহ বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কারনে পরিবার সহ কাউকে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়নি। ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রীর বাবা-মা শারীরিক ভাবে পঙ্গু এবং তাদের বিছানায়ই থাকতে হয়। এই পরিবারের সকলকে বোন ফারজানা পরিচালনা করে থাকে।

আমতলী হাসপাতালে বসে ধর্ষিতার বোন ফারজানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে ঐ মেয়েকে জিজ্ঞাস্য করলে প্রথমে ভয়তে ও কিছু বলতে পারবেনা বলার পর লাঠিসোটা হাতে নিলে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। এরপর ধর্ষিতাকে স্বজনরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।বোন ফারজানা আরও জানান, এর আগেও রহিম মোল্লা তার বোনকে আরও কয়েকবার ধর্ষন করেছে কিন্তু ধর্ষিতা ও বোনকে মেরে ফেলার ভয়তে কাউকে এ কথা জানায়নি।

আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক আঃ রহিম বলেন,খবর পেয়ে আমি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যাই এখনো এখানেই আছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে ফারজানা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব না থাকায় জেলা শহর বরগুনার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তে প্রেরণ করা হয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই রহিম মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হবে।