এম.ডি.এন.মাইকেল
বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার কারণে দেশের সরকারি বেসরকারি এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি হয়নি।ছাগল কাণ্ডে আলোচিত (এনবিআর সাবেক কর্মকর্তা) মতিউর রহমান, বন খেকো মোশারফ, বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারির হোতা ড্রাইভার আবেদ আলী, বন খেকো মোশারফ হোসেন সহ অসংখ্য দুর্নীতিবাজদের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি প্রকাশিত হয় তারই ধারাবাহিকতায় এবার বেরিয়ে আসলো সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় সদ্য অবসরে যাওয়া সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় গড়ে তোলা সম্পদের চুম্বক অংশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,আইজিপি ও পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সদ্য অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় রাজধানী ঢাকার আফতাব নগরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্লট, উক্ত প্লটটি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন বলে জানা যায়।মানিকগঞ্জে স্ত্রীর নামে প্রায় কয়েক বিঘা সম্পত্তি যার বাজার মুল্য আনুমানিক শত কোটি টাকার উপরে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে নামে বেনামে রয়েছে একাধিক প্লট, গোপালগঞ্জে বড় ভাই জহিরুল হকের মাধ্যমে ক্রয় করেন শত কোটি টাকার উপরে সম্পত্তি।অনুসন্ধানকালে সিআইডিতে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান আমাদের সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী স্যার অনিয়ম দুর্নীতির জন্য সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তাহার সিন্ডিকেটের মধ্যে ছিল এডিশনাল ডিআইজি, এসপি, এএসপি, ওসি, এসআই, এএসআই, কনস্টেবল, অনিয়ম দুর্নীতির টাকা সিন্ডিকেট সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হতো। সাবেক চিপ স্যার (সিআইডি প্রধান) মোহাম্মদ আলী’র নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা উত্তোলন করার পরে মোহাম্মাদ আলী স্যার এর বোনের বাসা মিরপুরে,ও ডাচ বাংলা ব্যাংক গুলিস্তান শাখা কর্মরত ভাই ফারুক এর বাসা যাত্রাবাড়ী ও বড় ভাই জহিরুল হক এর বাসা গোপালগঞ্জে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসা হতো, আর অনিয়ম দুর্নীতির টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব পালন করতেন এএসআই পদমর্যাদার একজন বিশ্বস্ত ক্যাশিয়ার এএসআই সহ সিআইডিতে কর্মরত ছয়জন,এই ৬ জনের ভিতর একজন কনস্টেবল।তারা আরো বলেন দুঃখের বিষয় এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির টাকা চিপ স্যার এর আত্মীয়-স্বজনের বাসায় পৌঁছিয়ে দেওয়ার সময় আমাদের সিআইডির লোগো লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা হতো যাতে অন্য কোন বাহিনী বহনকৃত টাকার গাড়ি চেক না করতে পারে।এই সকল অনিয়ম-দূর্নীতির টাকা পৌঁছে দেওয়ার সময় বস্তা ভর্তি টাকা গুলো গাড়িতে তোলার দায়িত্বে থাকতেন বিশ্বস্ত সেই কনস্টেবল এবং সেই কনস্টেবল সহ বাকি সিন্ডিকেট সদস্যরা বর্তমানে সিআইডিতে কর্মরত রয়েছেন।ওই সকল কর্মকর্তারা আরো জানান আমরা ছোট কর্মকর্তা হওয়ায় চিপ স্যারের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে নীরব থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিল না, এমনকি মোহাম্মদ আলী স্যারের অনিয়ন দুর্নীতির বিষয় সিআইডি কর্মরত কেউ যদি সামান্য প্রতিবাদ করতো তাদেরকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিআইডি প্রধান কার্যালয় থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হতো।তারা আরো বলেন মোহাম্মদ আলীর অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
তারা আরও জানান সদ্য অবসরে যাওয়া সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী স্যার নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে (সিআইডি’র) সরকারি গাড়ি বোন,ভাইকে ব্যবহার করতে দিয়েছেন যাহা সরকারি চাকরির বিধিমালা সাথে সাংঘর্ষিক।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সদ্যা অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী সিআইডিতে কর্মরত অনেক সদস্যের রেশন না দিয়ে নিজের ক্ষমতা বলে সরকারি গাড়ি করে জন্মস্থান গোপালগঞ্জ নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করতেন এবং সিআইডি’র ক্যান্টিন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পূর্ববর্তী মালিককে ক্যান্টিন আবারও পাইয়ে দিতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে পুনরায় পূর্ববর্তী মালিককে বরাদ্দ দেন। এই সকল বিষয়ে জানতে সদ্য অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলীর মুঠোফোনে খুঁদে বার্তা পাঠালে তিনি প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন ঢাকা শহরে আমার একটি ইট ও নাই,আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন আমি যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছি তা অত্যন্ত সততার সাথে করেছি।
তিনি আরও বলেন আমি অনেক বড় বড় মামলার তথ্য উদঘাটন করেছি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ কিপটো কারেন্সি, হুন্ডি ব্যবসায়ী, বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারি সহ আরও অনেক কিছু।মোহাম্মদ আলীর বক্তব্য শুনে প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন সিআইডি প্রধান থাকা অবস্থায় অ্যাডিশনাল ডিআইজি, এসপি, এডিশনাল এসপি, ওসি, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলদের নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করার জন্য যেই সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন করেছেন তা কি মিথ্যা? এবং আপনার অনিয়ম দুর্নীতির টাকা সংগ্রহের জন্য ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করতেন একজন এএসআই। পরবর্তীতে এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির টাকা আপনার বোনের বাসা মিরপুর ভাই ফারুকের বাসা যাত্রাবাড়ী ও বড় ভাই জহিরুল হকের বাসা গোপালগঞ্জে সিআইডি লোগো সম্বলিত গাড়ী করে পৌঁছে দিয়ে আসতো তাও কি মিথ্যা?
প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি প্রতিবেদকে বলেন এই দুনিয়ায় আমরা বাঁচবো কয়দিন, তাই আপনার কাছে অনুরোধ করবো আপনি আমার বিষয়ে মিথ্যে কোন কিছু লিখবেন না।উত্তরের প্রতিবেদক সদ্য অবসরে যাওয়া সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীকে বলেন আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন বিগত সরকার সাংবাদিকদের জন্য একটা আইন পাশ করেছিল,তথ্য প্রমাণ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশিত করলে ওই সাংবাদিকের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে উক্ত আইন।পরবর্তীতে তিনিই প্রতিবেদককে বলেন আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগছে আপনার চায়ের দাওয়াত রইলো,একসময় আসবেন একসাথে বসে চা খাবো।
প্রশ্ন জাগে তিনি চা এর দাওয়াত দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। এইদিকে সদ্য অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীর নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন ও ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন বলেন এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু,এই সকল দুর্নীতিবাজদের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে দেশে-বিদেশে,এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের করা বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন।
সদ্য অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলীর অনিয়ম দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান,,,,,