ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন Logo সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ করে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া জসিম উদ্দিনকে সংবর্ধনা Logo মুরাদনগরে খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo বুড়িচং বাকশীমূল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা Logo সিলেট জেলা যুবদলের নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবি Logo বরুড়ার দলুয়া তুলাগাও দাখিল মাদ্রাসার ৫৪ তম বার্ষিক বড় খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফুলবাড়ীতে কানাহার ডাঙ্গা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

চীনের গ্রামগুলো সবুজ উন্নয়নের ধারায় চলতে শুরু করেছে

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিনচিয়াংয়ের বা বান্নার ও হ্যেশুও জেলা সুন্দর গ্রাম নির্মাণ ও বৈশিষ্ট্যময় পর্যটনশিল্প উন্নয়নের চেষ্টা করে। জেলাটি নগর ও গ্রামের সমন্বিত উন্নয়নের বৈশিষ্ট্যময় গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানকার গ্রামীণ পর্যটন শিল্প স্থানীয় কৃষকদের ধনী হওয়ার চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি হ্যেশুও জেলা উশতালা থানার তাচুয়াং গ্রামের অবসর ও দর্শনীয় স্থান বাছাই বাগানে লাল টমেটো, বেগুনি বেগুন ও সবুজ কাউপিস ফসল ফলে। এগুলো কাছাকাছি অঞ্চলের বাসিন্দা ও পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করে।

“আমি সবসময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে তাজা সবজি কিনতে আসি। এখানকার সবজি খুবই ফ্রেশ; দামও কম। বাগান থেকে তাজা সবজি বাছাই করা খুবই মজার। সবুজ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।”

“আমি জেলার নগরাঞ্চল থেকে গাড়ী চালিয়ে এখানে ভ্রমণে আসি। আমি আমার সন্তানদেরকে সবজি বাগানে বিভিন্ন সবজির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। কৃষকরা পর্যটন শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি সবজিও বিক্রয় করতে পারে।” জেলার একজন বাসিন্দা এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গ্রামগুলোর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামের পরিবহনব্যবস্থা ও পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে।
এখানকার শাকসবজি জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। একটি বাগানের মালিক ওয়াং শু হুয়া জানান, তাঁর বাগানে আসা পর্যটকের সংখ্যা খুবই বেশি। প্রতিদিন তার আয় প্রায় ৬ হাজার ইউয়ান।

 

ওয়াং শু হুয়া’র বাগানটির আয়তন প্রায় ৩ হেক্টর। ২০১৫ সালে তাঁর বাগানে প্রথম ফসল হয়। তাঁর বাগানে আসা পর্যটক ও আশেপাশের বাসিন্দাদের সংখ্যা বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও ওয়াং শু হুয়ার বাগানের আয়তন কম, তবুও এখান থেকে এক বছরে তাঁর আয় হয়েছে প্রায় ২.৫ লাখ ইউয়ান।
সাত বছরে ওয়াং বাগানে দূষণমুক্ত বৃক্ষরোপণ ও বিজ্ঞানগত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। আসলে, পর্যটনশিল্প ও সবজির চাষ এখানে অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষকদের আয়ও অনেক বেড়েছে।

 

ওয়াং বলেন, “বাগানটি আমার আয় বাড়িয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে এখান থেকে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। আমরা সবসময় অভিজ্ঞতা বিনিময় করি।”
মা চি ইং হলেন তাচুয়াং গ্রামের বাসিন্দা। কৃষিকাজ থেকে অবসর পেলেই তিনি বাগানে কাজ করেন। তিনি বলেন, “বাগানটি আমার বাড়ির কাছাকাছি অবস্থিত। প্রতিদিন আমার বেতন ১০০ ইউয়ানেরও বেশি। আমি আসলে এখানে সবুজ চাষবাস প্রযুক্তি ও বাগান-ব্যবস্থাপনা শিখতে চাই।”

তাচুয়াং গ্রামে হ্যেশুও জেলার চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির কার্যলয় এবং রাজনৈতিক ও আইন বিষয়ক কমিটির কাজকর্ম গ্রুপের প্রধান ও প্রথম সম্পাদক ওয়াং চি ছিয়াং বলেন, গ্রামটি সবুজ উন্নয়নের ধারণায় চলে। এখানে চার ঋতুতে ফুল ফোটে, সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় বেড়েছে। গ্রামবাসীরা তাদের আয় বাড়াতে বাড়াতে একসময় ধনী হবে।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

SBN

SBN

চীনের গ্রামগুলো সবুজ উন্নয়নের ধারায় চলতে শুরু করেছে

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিনচিয়াংয়ের বা বান্নার ও হ্যেশুও জেলা সুন্দর গ্রাম নির্মাণ ও বৈশিষ্ট্যময় পর্যটনশিল্প উন্নয়নের চেষ্টা করে। জেলাটি নগর ও গ্রামের সমন্বিত উন্নয়নের বৈশিষ্ট্যময় গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানকার গ্রামীণ পর্যটন শিল্প স্থানীয় কৃষকদের ধনী হওয়ার চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি হ্যেশুও জেলা উশতালা থানার তাচুয়াং গ্রামের অবসর ও দর্শনীয় স্থান বাছাই বাগানে লাল টমেটো, বেগুনি বেগুন ও সবুজ কাউপিস ফসল ফলে। এগুলো কাছাকাছি অঞ্চলের বাসিন্দা ও পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করে।

“আমি সবসময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে তাজা সবজি কিনতে আসি। এখানকার সবজি খুবই ফ্রেশ; দামও কম। বাগান থেকে তাজা সবজি বাছাই করা খুবই মজার। সবুজ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।”

“আমি জেলার নগরাঞ্চল থেকে গাড়ী চালিয়ে এখানে ভ্রমণে আসি। আমি আমার সন্তানদেরকে সবজি বাগানে বিভিন্ন সবজির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। কৃষকরা পর্যটন শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি সবজিও বিক্রয় করতে পারে।” জেলার একজন বাসিন্দা এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গ্রামগুলোর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামের পরিবহনব্যবস্থা ও পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে।
এখানকার শাকসবজি জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। একটি বাগানের মালিক ওয়াং শু হুয়া জানান, তাঁর বাগানে আসা পর্যটকের সংখ্যা খুবই বেশি। প্রতিদিন তার আয় প্রায় ৬ হাজার ইউয়ান।

 

ওয়াং শু হুয়া’র বাগানটির আয়তন প্রায় ৩ হেক্টর। ২০১৫ সালে তাঁর বাগানে প্রথম ফসল হয়। তাঁর বাগানে আসা পর্যটক ও আশেপাশের বাসিন্দাদের সংখ্যা বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও ওয়াং শু হুয়ার বাগানের আয়তন কম, তবুও এখান থেকে এক বছরে তাঁর আয় হয়েছে প্রায় ২.৫ লাখ ইউয়ান।
সাত বছরে ওয়াং বাগানে দূষণমুক্ত বৃক্ষরোপণ ও বিজ্ঞানগত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। আসলে, পর্যটনশিল্প ও সবজির চাষ এখানে অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষকদের আয়ও অনেক বেড়েছে।

 

ওয়াং বলেন, “বাগানটি আমার আয় বাড়িয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে এখান থেকে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। আমরা সবসময় অভিজ্ঞতা বিনিময় করি।”
মা চি ইং হলেন তাচুয়াং গ্রামের বাসিন্দা। কৃষিকাজ থেকে অবসর পেলেই তিনি বাগানে কাজ করেন। তিনি বলেন, “বাগানটি আমার বাড়ির কাছাকাছি অবস্থিত। প্রতিদিন আমার বেতন ১০০ ইউয়ানেরও বেশি। আমি আসলে এখানে সবুজ চাষবাস প্রযুক্তি ও বাগান-ব্যবস্থাপনা শিখতে চাই।”

তাচুয়াং গ্রামে হ্যেশুও জেলার চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির কার্যলয় এবং রাজনৈতিক ও আইন বিষয়ক কমিটির কাজকর্ম গ্রুপের প্রধান ও প্রথম সম্পাদক ওয়াং চি ছিয়াং বলেন, গ্রামটি সবুজ উন্নয়নের ধারণায় চলে। এখানে চার ঋতুতে ফুল ফোটে, সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় বেড়েছে। গ্রামবাসীরা তাদের আয় বাড়াতে বাড়াতে একসময় ধনী হবে।
সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।