ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি Logo বাগেরহাটের দশানী পচা দীঘি থেকে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার Logo মুন্সীগঞ্জে ৭ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও ইলিশ জব্দ Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক

সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি গ্রেফতার

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের জনপ্রিয় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ.টি.এম তুরাব হত্যা মামলা অন্যতম আসামী সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার ৬ নং আসামি সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপনকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে বিজিবি’র টাস্কফোর্স।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে হবিগঞ্জের মাধবপুরের গোপীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. কে.এম. ফয়সাল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঈন উদ্দিন গোপীনাথপুর (মাস্টারবাড়ি) গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, গোপন সূত্রে ৫৫ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন জানতে পারেন- গোপীনাথপুররস্থ (মাস্টারবাড়ি) মঈন উদ্দিনের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিজিবি’র টাস্কফোর্স সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় কোনো অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ওসি মঈন উদ্দিনকে পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- ৫ আগস্টের পর সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে মঈনকে ওএসডি করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করে রাখা হয়। তবে তিনি বাড়িতে কী করছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। এজাহারে আসামি হিসেবে পুলিশসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

SBN

SBN

সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের জনপ্রিয় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ.টি.এম তুরাব হত্যা মামলা অন্যতম আসামী সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার ৬ নং আসামি সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন শিপনকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে বিজিবি’র টাস্কফোর্স।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে হবিগঞ্জের মাধবপুরের গোপীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. কে.এম. ফয়সাল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঈন উদ্দিন গোপীনাথপুর (মাস্টারবাড়ি) গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, গোপন সূত্রে ৫৫ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন জানতে পারেন- গোপীনাথপুররস্থ (মাস্টারবাড়ি) মঈন উদ্দিনের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিজিবি’র টাস্কফোর্স সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় কোনো অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ওসি মঈন উদ্দিনকে পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- ৫ আগস্টের পর সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে মঈনকে ওএসডি করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করে রাখা হয়। তবে তিনি বাড়িতে কী করছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। এজাহারে আসামি হিসেবে পুলিশসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।