ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া Logo বুড়িচংয়ে বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলায় চলছে জুয়ার আসর Logo লালমনিরহাটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন Logo স্লিপের অর্থ ছাড় করানোর নামে ঘুষের টাকা আদায়ের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র মিছিলে ককটেল হামলা মামলায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার Logo ফুলবাড়ী সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপবেশের সময় স্বামী-স্ত্রী আটক Logo ফুলবাড়ীতে ৪ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo নার্সিং শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি স্বীকৃতির দাবিতে রাঙামাটিতে কর্মসূচি Logo গাইবান্ধায় ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রামের আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ মাদক কারবারীকে আটক

সরকারী মাল দরিয়া মে ডাল

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হলেও দেখার কেউ নেই

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা)’র বরগুনা জেলার আমতলী অফিসের পনের-বিশ একর এলাকা জুড়ে অরক্ষিত এলাকায় ২০ টনের অধিক ব্রিজের পুরাতন ঢালাই লোহা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডোবার পানিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় বিনষ্ট হচ্ছে। কেবল ঢালাই লোহাই নয় রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও। যা এক সময় কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। আমতলী ও তালতলী উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃহৎ এলাকার কোটি কোটি টাকার স্হাপনা ও সম্পত্তি দেখভালোর জন্য নিয়োজিত রয়েছে মাত্র একজন কার্য সহকারী।

লক্ষ লক্ষ টাকার ঢালাই লোহা পানিতে ডুবে বিনষ্ট হওয়ার উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এখানে চাকুরীরতে আছি প্রায় ২০ বছর। যোগদানের পর থেকেই আমি এই ঢালাই লোহা গুলো পড়ে থাকতে দেখছি। এগুলো কত বছর ধরে পড়ে আছে জানতে চাইলে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময়ের কথা উল্লেখ করেন। এতো বছর হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি অফিসিয়াল বিভিন্ন জটিলতাকে ইঙ্গিত করেন যার অর্থ হচ্ছে “সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল”।

ঢালাই লোহার পরিমান,মূল্য ও অরক্ষিত অবস্থা থেকে খোয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধুমাত্র বর্তমানে যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ও নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে তার পরিমাণ আনুমানিক বিশ টনের বেশি যার আনুমানিক বাজার মুল্য পনের থেকে বিশ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। কেবল ঢালাই লোহাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমতলী অফিসের কোটি কোটি টাকার একাধিক স্থাপনাও বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে অফিস এলাকা ও আমতলী-তালতলী উপজেলায় ওয়াপদার সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থাপনা গুলোর কয়েকটিতে দায়িত্বরত কার্যসহকারী তার গবাদি পশুর ফার্ম ও সংশ্লিষ্ট খাদ্য মজুদে ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, পড়ে থাকা লোহার বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া

SBN

SBN

সরকারী মাল দরিয়া মে ডাল

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হলেও দেখার কেউ নেই

আপডেট সময় ০৭:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা)’র বরগুনা জেলার আমতলী অফিসের পনের-বিশ একর এলাকা জুড়ে অরক্ষিত এলাকায় ২০ টনের অধিক ব্রিজের পুরাতন ঢালাই লোহা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডোবার পানিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় বিনষ্ট হচ্ছে। কেবল ঢালাই লোহাই নয় রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও। যা এক সময় কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। আমতলী ও তালতলী উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃহৎ এলাকার কোটি কোটি টাকার স্হাপনা ও সম্পত্তি দেখভালোর জন্য নিয়োজিত রয়েছে মাত্র একজন কার্য সহকারী।

লক্ষ লক্ষ টাকার ঢালাই লোহা পানিতে ডুবে বিনষ্ট হওয়ার উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এখানে চাকুরীরতে আছি প্রায় ২০ বছর। যোগদানের পর থেকেই আমি এই ঢালাই লোহা গুলো পড়ে থাকতে দেখছি। এগুলো কত বছর ধরে পড়ে আছে জানতে চাইলে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময়ের কথা উল্লেখ করেন। এতো বছর হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি অফিসিয়াল বিভিন্ন জটিলতাকে ইঙ্গিত করেন যার অর্থ হচ্ছে “সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল”।

ঢালাই লোহার পরিমান,মূল্য ও অরক্ষিত অবস্থা থেকে খোয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধুমাত্র বর্তমানে যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ও নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে তার পরিমাণ আনুমানিক বিশ টনের বেশি যার আনুমানিক বাজার মুল্য পনের থেকে বিশ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। কেবল ঢালাই লোহাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমতলী অফিসের কোটি কোটি টাকার একাধিক স্থাপনাও বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে অফিস এলাকা ও আমতলী-তালতলী উপজেলায় ওয়াপদার সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থাপনা গুলোর কয়েকটিতে দায়িত্বরত কার্যসহকারী তার গবাদি পশুর ফার্ম ও সংশ্লিষ্ট খাদ্য মজুদে ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, পড়ে থাকা লোহার বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।