চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই স্থানীয় সময় ২৭শে সেপ্টেম্বর, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন এবং বক্তৃতা করেন।
ওয়াং ই বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বর্তমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দূরে থাকতে পারে না।
ওয়াং ই এ বিষয়ে চীনের চার দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন:প্রথমত, যুদ্ধ সংঘাত চলতে পারে না এবং অবিলম্বে একটি ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমরা ‘ফিলিস্তিনি জনগণ, ফিলিস্তিন শাসন’ থেকে বিচ্যুত হতে পারি না এবং যুদ্ধোত্তর শাসনব্যবস্থার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সমস্ত ফিলিস্তিনি পক্ষকে বিভক্তির অবসান এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার বেইজিং ঘোষণা বাস্তবায়নে উত্সাহিত করা হচ্ছে। চীন যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন সম্মেলন আহ্বান করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক দেশ এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের পক্ষে কথা বলে।
তৃতীয়ত, ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান’ প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে হবে।
চতুর্থত, আন্তর্জাতিক সমর্থন অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।
ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেছেন যে, চীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একটি কৌশলগত অংশীদার এবং সর্বদা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নির্মাতা, স্থিতিশীলতার প্রবর্তক এবং মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়নে অবদানকারী।
আমরা আরব ও ইসলামি দেশগুলোসহ সকল শান্তিপ্রিয় এবং ন্যায়-প্রবক্তা দেশগুলোর সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে, সংঘাতের বিস্তার বন্ধ করতে, ‘দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধান’ বাস্তবায়নের জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালানো যায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
সূত্র: স্বর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।