বিগত ৭৫ বছরে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি এবং সরকার সর্বদা নারী এবং শিশুদের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গত ৭৫ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সাফল্যের উপর একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা জোরদার অব্যাহত রয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য-পরিচর্যা প্রতিষ্ঠানের সাথে চীনা বৈশিষ্ট্যসহ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবা নেটওয়ার্কগুলো ধীরে ধীরে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নেটওয়ার্ক ধীরে ধীরে ১.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যাকে কভার করে চিকিৎসা সুরক্ষা নেটওয়ার্ক এবং শহর ও গ্রামীণ এলাকাকে কভার করে তিন-স্তরের চিকিৎসা সেবা নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশব্যাপী মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯৫০ সালে ৪২৬ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৩০৩১ হয়েছে এবং শিশু হাসপাতালের সংখ্যা ১৯৮৩ সালে ২৫ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ১৫১ হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তালিকাভুক্ত চীন মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যে উচ্চ কর্মক্ষমতা সহ ১০টি দেশের মধ্যে একটি।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। ২০২৩ সালে, মাতৃত্ব ব্যবস্থা পরিচালনার হার, প্রসবপূর্ব পরীক্ষার হার, মাতৃত্বকালীন হাসপাতালে প্রসবের হার এবং প্রসবোত্তর ভিজিট হার হবে যথাক্রমে ৯৪.৫%, ৯৮.২%, ৯৯.৯৫% এবং ৯৭%।
যা ১৯৯৬ সালের তুলনায় যথাক্রমে ২৯%, ১৪.৫%, ৩৯.২৫% এবং ১৬.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে, নবজাতকের পরিদর্শনের হার, ৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের পদ্ধতিগত ব্যবস্থাপনার হার এবং ৭ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার হার যথাক্রমে ৯৬.৭%, ৯৩.৩% এবং ৯৪.৯%, যা ১৯৯৬ সালের তুলনায় ১৫.৩%, ৩১.৯% এবং ৩২.২% বেশি।
নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের স্তর ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। ২০২০ সালে, নারীদের গড় আয়ু ছিল ৮০.৮৮ বছর, যা ১৯৮১ থেকে ১১.৬১ বছর বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে ৮৮.৮ থেকে ২০২৩ সালে ১৫.১-এ নেমে এসেছে। জাতীয় নবজাতক মৃত্যুর হার, শিশুমৃত্যুর হার এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ১৯৯১ সালে যথাক্রমে ৩৩.১‰, ৫০.২‰ এবং ৬১‰ থেকে ২.৮‰, ৪.৫‰ এবং ৬.২‰ নেমে এসেছে।
সূত্র:স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।