
এম.ডি.এন.মাইকেল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সির বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগটি করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার তানিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক জনৈক মোঃ সেলিম।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সী, তানিমা এন্টারপ্রাইজের প্যাড, সিল, স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ঠিকাদারি কাজের বিপরীতে জামানতকৃত ৩,২২,৮,২৬ টাকার (প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি নবাবপুর শাখার) চেক নিয়ে উক্ত চেকের বিপরীতে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’তে নতুন একটি একাউন্ট খুলে তানিম এন্টারপ্রাইজের চেকের টাকা আত্মসাৎ করেন।অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় ঠিকাদার সেলিম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জনৈক আলী আশরাফ নামক ব্যক্তির কাছে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কাছে আমানত রাখেন উক্ত আমানতকৃত টাকার বিষয় জানতেন জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড হিসাবে খ্যাত ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেদুজ্জামান মুন্সী।পরবর্তীতে উক্ত তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালকের কক্ষে জনৈক আলী আশরাফকে জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খালেকুজ্জামান মুন্সী নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আটক করে নাজেয়াল করতে থাকেন।উক্ত ঘটনার একপর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত স্টোর কিপার ইউসুফ (টাক মাথা) এসে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য নিজে দায়িত্ব নেন।
দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহখানেক পরে প্রথম কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা পরবর্তীতে বাকি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খালেকুজ্জামান মুন্সিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পাশে হেলপিশিয়া নামক ফাস্টফুড দোকানের পিছনে বুঝিয়ে দেন আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১ টার সময়।পরবর্তী সময়ে জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত ঠিকাদার খালেকুজ্জামান মুন্সী তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে শশী রেস্তোরায় দুপুরের ভুরিভোজ করেন বলে ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুন হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের শেরপুর জেলার ডিডি’র স্বাক্ষর জাল করে (আনুমানিক ২০২২/২৩ সালে)বিলের ফাইল জমা দেওয়ার পরে ডিডি স্যারের সই স্বাক্ষর সন্দেহ হওয়ার সাথে সাথে আমি ডিডি স্যার এর মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান এসকে এন্টারপ্রাইজের উক্ত বিলের কাগজে আমি কোন সই স্বাক্ষর করি নাই ইয়া সম্পূর্ণ ভুয়া ও জাল-জালিয়াতি।পরবর্তীতে শেরপুরের ডিডিকে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় খালেকুজ্জামান ম্যানেজ করে নেন বলে জানান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুন হোসাইন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন বিগত সরকারের আমলে জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সি তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সহ সকল কাগজপত্র হালনাগাদ নবায়ন না করে কম্পিউটারের মাধ্যমে স্ক্যান করিয়ে বসিয়ে দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ করে কাজ বাগিয়ে নিতেন।তার এই সকল জাল জালিয়াতির কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত যাহা সরকারি বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত খালেদুজ্জামান মুন্সী তৎকালীন ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নাম ব্যবহার করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ত্রাসের রাজত্ব করেন করেছেন যাহা এখনো চলমান।এমনকি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কাজের জন্য দুর্ব্যবহার করতেন ও অফিস চলাকালীন সময় নিজস্ব বাহিনী নিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কক্ষে মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাড়িয়ে নিতেন।খালেদুজ্জামান মুন্সী অক্টোবর ২০২৪ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজের বিপরীতে দরপত্র আহবান করলে এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জ্বালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত খালেদুজ্জামান মুন্সী চলিত সপ্তাহে উক্ত দরপত্র অংশগ্রহণ করেন বলেও জানান ঠিকাদাররা।পরবর্তীতে অভিযোগকারী সেলিম বেপারীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সী আপাদমস্তক একজন জাল জালিয়াতকারী এবং সন্ত্রাসী লালন পালনকারী।
এই জাল জালিয়াতকারী খালেকুজ্জামান মুন্সী বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের নাম বিক্রি করতেন যদিও প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকে চেনেন না জানেন না।এমনকি কুখ্যাত জাল জালিয়াতকারী খালেকুজ্জামান মুন্সির এই সকল আইনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ওই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগকারী সেলিম আরো জানান খালেকুজ্জামান মুন্সী চলতি বছরে আমার শাহজাহানপুরের বাসায় তার লোকজন নিয়ে টাকার জন্য হামলা চালায়,পরবর্তীতে আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র বাসা সরিয়ে নিয়ে যাই।অভিযোগকারী মোঃ সেলিম আক্ষেপ করে বলেন জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এসকে ইন্টারপ্রাইজের মালিক খালেকুজ্জামান মুন্সি কর্মকর্তাদের সই স্বাক্ষর জাল করে ধরা পড়া এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আমার কোম্পানি তানিমা এন্টারপ্রাইজের চেক তুলে নিয়ে যাওয়া ও জাল জালিয়াতির কাগজপত্র জমা দিয়ে কিভাবে এখনো যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অংশগ্রহণ করছেন তাহা আমার বোধগম্য নয়।
এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার এসকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খালেকুজ্জামান মুন্সির ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে খুঁদে বার্তা পাঠালেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধান চলমান।