ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই

বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যলয়ের গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন এক প্রধান শিক্ষক।
তিন দিনে বিদ্যালয়ের তিনটি কড়ইগাছ ও একটি সুপারি গাছ কোন প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করেছেন তিনি।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলমের দাবী সহকারী শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধলক্ষ টাকার ৪টি গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। গাছের গুড়ি ও কাটা গাছ গুলো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সরকারি স্কুলের গাছ নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়া কিভাবে কেটে নিয়েছে এই নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলম বিক্রি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের পাশের বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে মামুন ভূইয়া স্কুলের সিমানা সংলগ্ন গাছগুলো লাগিয়ে ছিলেন। তাই মামুন গাছগুলো কেটে নিতে চাইলে আমি সহকারি শিক্ষা অফিসার হায়াতুন্নবীর স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কেটে নিতে বলি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মামুন বলেন, যায়গা আমাদের গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তাই আমাদের গাছ আমরা কেটে নিয়েছি।
উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হায়াতুন্নবী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন গাছগুলো মামুন নামের এক লোক লাগিয়েছেন। তারা গাছগুলো কেটে নিতে চাচ্ছে। তারা যেহেতু গাছগুলো লাগিয়েছে তাই আমি অনুমতি দিয়েছি কেটে নিয়ে যেতে। স্কুলের সিমানা নির্ধারন করার পর বুঝা যাবে গাছের মালিক কে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি তিনদিন ছুটিতে ছিলাম তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, সরকারি জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই

বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যলয়ের গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন এক প্রধান শিক্ষক।
তিন দিনে বিদ্যালয়ের তিনটি কড়ইগাছ ও একটি সুপারি গাছ কোন প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করেছেন তিনি।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলমের দাবী সহকারী শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধলক্ষ টাকার ৪টি গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। গাছের গুড়ি ও কাটা গাছ গুলো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সরকারি স্কুলের গাছ নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়া কিভাবে কেটে নিয়েছে এই নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলম বিক্রি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের পাশের বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে মামুন ভূইয়া স্কুলের সিমানা সংলগ্ন গাছগুলো লাগিয়ে ছিলেন। তাই মামুন গাছগুলো কেটে নিতে চাইলে আমি সহকারি শিক্ষা অফিসার হায়াতুন্নবীর স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কেটে নিতে বলি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মামুন বলেন, যায়গা আমাদের গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তাই আমাদের গাছ আমরা কেটে নিয়েছি।
উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হায়াতুন্নবী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন গাছগুলো মামুন নামের এক লোক লাগিয়েছেন। তারা গাছগুলো কেটে নিতে চাচ্ছে। তারা যেহেতু গাছগুলো লাগিয়েছে তাই আমি অনুমতি দিয়েছি কেটে নিয়ে যেতে। স্কুলের সিমানা নির্ধারন করার পর বুঝা যাবে গাছের মালিক কে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি তিনদিন ছুটিতে ছিলাম তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, সরকারি জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।