ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা Logo আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজ

এইচএসসিতে ফেলের হ্যাট্টিক

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিগত ৪ বছরে এইচএসসি পরিক্ষায় একজনও পাশ করতে পারেনি। প্রতিবছর এভাবে শিক্ষার্থীরা ফেল করায় আলোচনার কারণ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফুলবাড়ী পৌরসভার নিকটবর্তী লক্ষিপুর বাজারে অবস্থিত উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজটি। প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস বেশ সাজানো ও গোছানো। স্কুল এন্ড কলেজের ভবনে অনেকগুলো ক্লাস রুম আছে। প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতের সারিসারি গাছ লাগানো রয়েছে এবং মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়টির ৫৮ বছর বয়সে এসে এই স্কুল এন্ড কলেজটি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় লজ্জার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। স্কুলের ফলাফল ভালো হলেও বিগত ৪ বছরে এই কলেজ থেকে কেউ এইচএসসি পাশ করেনি।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেন একজন শিক্ষার্থী এবং সে ফেল করে, ২০২৩ সালে তিনজন অংশগ্রহণ করলেও একজনও পাশ করতে পারেনি। এবছরেও তিনজন পরীক্ষা দিলেও ফেলের কলঙ্গঁ মুছতে পারেনি কেউ। পরপর তিন বছর ফেল করায় প্রতিষ্ঠানটি ফেলের হ্যাট্টিক করেন। ফুলবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের কাছে স্কুল এন্ড কলেজটি এখন হাসির পাত্র হয়ে দাড়িয়েছে। ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ জানতে গেলে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে একাধিক ব্যক্তি বলেন, কলেজ বিভাগের পাঠদান অনুমোদনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় কলেজে শিক্ষকরা আসেননা। প্রতিবছর কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় ক্লাস হয়না। ফলে শিক্ষার্থীরা ফেল করেন। কলেজ বিভাগের শিক্ষকদের এমপিও হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন যে, বিগত আওয়ামীলীগের আমলে তৎকালিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হায়দার আলী ও সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীর্ঘদিন থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও এমপিও ভুক্ত করেন নাই। বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করে অনুরোধ করছি যেন, কলজেটিকে দ্রæত এমপিও ভুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ, মোঃ মাসুদুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা

SBN

SBN

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজ

এইচএসসিতে ফেলের হ্যাট্টিক

আপডেট সময় ০৪:১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিগত ৪ বছরে এইচএসসি পরিক্ষায় একজনও পাশ করতে পারেনি। প্রতিবছর এভাবে শিক্ষার্থীরা ফেল করায় আলোচনার কারণ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফুলবাড়ী পৌরসভার নিকটবর্তী লক্ষিপুর বাজারে অবস্থিত উত্তর লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজটি। প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস বেশ সাজানো ও গোছানো। স্কুল এন্ড কলেজের ভবনে অনেকগুলো ক্লাস রুম আছে। প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতের সারিসারি গাছ লাগানো রয়েছে এবং মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়টির ৫৮ বছর বয়সে এসে এই স্কুল এন্ড কলেজটি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় লজ্জার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। স্কুলের ফলাফল ভালো হলেও বিগত ৪ বছরে এই কলেজ থেকে কেউ এইচএসসি পাশ করেনি।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেন একজন শিক্ষার্থী এবং সে ফেল করে, ২০২৩ সালে তিনজন অংশগ্রহণ করলেও একজনও পাশ করতে পারেনি। এবছরেও তিনজন পরীক্ষা দিলেও ফেলের কলঙ্গঁ মুছতে পারেনি কেউ। পরপর তিন বছর ফেল করায় প্রতিষ্ঠানটি ফেলের হ্যাট্টিক করেন। ফুলবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের কাছে স্কুল এন্ড কলেজটি এখন হাসির পাত্র হয়ে দাড়িয়েছে। ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ জানতে গেলে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে একাধিক ব্যক্তি বলেন, কলেজ বিভাগের পাঠদান অনুমোদনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় কলেজে শিক্ষকরা আসেননা। প্রতিবছর কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় ক্লাস হয়না। ফলে শিক্ষার্থীরা ফেল করেন। কলেজ বিভাগের শিক্ষকদের এমপিও হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন যে, বিগত আওয়ামীলীগের আমলে তৎকালিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হায়দার আলী ও সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীর্ঘদিন থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও এমপিও ভুক্ত করেন নাই। বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করে অনুরোধ করছি যেন, কলজেটিকে দ্রæত এমপিও ভুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ, মোঃ মাসুদুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।