ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কম্বোডিয়া ও চীনের মধ্যে চলচ্চিত্র-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চুক্তি Logo চীনে ভ্রমণের জন্য সুবিধাজনক ও বন্ধুত্বপূর্ণ ভোক্তা পরিবেশ তৈরি Logo চীন ও কম্বোডিয়া মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে Logo কটিয়াদী উপজেলা প্রেস ক্লাবে মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo মাঠের রাস্তায় জামাই শাশুড়ির বাঁশের বেড়া: বিপাকে দুই গ্রামের কৃষক Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী

দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ -ধর্ম উপদেষ্টা

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২৬ অক্টোবর ২৪ ইং সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এফসিডিও’র সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পিছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতিক। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেদেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সেবিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোন দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না। তিনি বলেন, যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায় তারা দুর্বৃত্ত, তাদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই।

ড. খালিদ আরো বলেন, শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শ্রী হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয় প্রমুখ।

এ সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম বক্তব্য প্রদান করেন। এ সংলাপে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।

আপলোডকারীর তথ্য

কম্বোডিয়া ও চীনের মধ্যে চলচ্চিত্র-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চুক্তি

SBN

SBN

দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ -ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২৬ অক্টোবর ২৪ ইং সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এফসিডিও’র সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পিছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতিক। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেদেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সেবিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোন দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না। তিনি বলেন, যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায় তারা দুর্বৃত্ত, তাদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই।

ড. খালিদ আরো বলেন, শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শ্রী হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয় প্রমুখ।

এ সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম বক্তব্য প্রদান করেন। এ সংলাপে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।