
নাহিদ জামান, খুলনা
রূপসা উপজেলার টিএসবি ইউনিয়নের কাজদিয়া গ্রামে বসবাস করেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ফকির। তিনি ৩ বছর আগে বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টা এবং কমলা লেবুর চাষ শুরু করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমানে প্রতিটি গাছে মাল্টা এবং কমলা ঝুলছে। ফলন এত ভালো হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে তার স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত হতে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন বেকার থেকে মুক্তি পাওয়া ও নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য কৃষি কাজে যুক্ত হই। সব ধরনের ফসল উৎপাদন করে সফল না হতে পেরে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। ৪ বছর আছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বেড়াতে যাই। ওখানে গিয়ে প্রচুর দেশি মাল্টার গাছ দেখতে পাই। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তারা মাল্টা চাষ করে লাভবান। এরপর এলাকায় এসে আমি কিছুদিন পর ওই জেলা থেকে বারি-১, ভিয়েতনামি ও ইয়োলোকিং জাতের মাল্টার চারা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করি। মাল্টা গাছে ফলনের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। ৩ বছর পরে গাছে ফল এসেছে। এই গাছে ফুল আসে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। বারি-১ জাতের দেশি মাল্টা নভেম্বর মাসে খাওয়ার উপযোগী হয়। কমলা হয় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে। সামনে নভেম্বর মাস মাল্টা বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন আমি রূপসার মাটিতে মাল্টা চাষে সফলতা দেখাতে চাই। একসময় সবুজ মাল্টা ক্রেতারা কিনতে চাইত না। তবে বর্তমানে বাজারে দেশি মাল্টার ব্যাপক চাহিদা, কারন এটি একটি ফরমালিনমুক্ত ফল।
যারা বেকার রয়েছে তাদের কে বলবো যদি কেহ আমার মত মালটা, কমলা চাষ করে সাবলম্বী হতে চান। যত রকম পরামর্শ লাগবে আমি দিতে পারবো। প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি চাই এই চাষে অন্যরাও স্বাবলম্বী হোক।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























