নাহিদ জামান, খুলনা

রূপসায় ঐতির্য্যবাহী ক্রিড়া সংগঠন, শহীদ মুনসুর স্মৃতি সংসদ কতৃক আয়োজিত ১৬ দলীয় ৫ম অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। তিনি বলেন ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। দেশের তৃমূল পর্যায়ে মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়িতে যুবক সম্প্রদায়েরা জড়িয়ে পড়েছে।

বিগত সরকাররে সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভাবে এ সমস্যা সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন যুব এবং ছাত্র সম্প্রদায়কে মাদকের এই করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নাই। খেলাধূলার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়রা সদা ব্যস্ততা থাকলে তাদের মাথা থেকে মাদকের নেশা দূর হবে। তিনি আরও বলেন অধ্যক্ষ আলমগীর কবির ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমি, সদালাপী এবং পরোপকারী মানুষ। তার নেতৃত্বে রূপসা উপজেলায় ব্যাপক ক্রীড়াচর্চা সংগঠিত হতো। তিনি বক্তৃতা শেষে বেলুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষনা করেন।

সমাজসেবক মাফতুন আহম্মেদ রাজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ক্রীড়া সংগঠক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর চাইনিজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক জেলা বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, মোস্তাফা উল বারী লাভলু, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হোসেন বাবু, সাবেক জেলা বিএনপি নেতা আঃ রশিদ শেখ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, তৈয়েবুর রহমান, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, মাহবুব হাসান পিয়াস, ইকরামুল হক হেলাল, আতাউর রহমান রুনু, আলী আজগর, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক, যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ মিত্র, রয়েল আজম, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খান আনোয়ার হোসেন,মহিউদ্দিন মিন্টু, আ: মালেক, সদস্য সচিব আজিজুর রহমান, দিদারুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইবাদুল হক রুবায়েত, উজ্জল সাহা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক বাবলু কুমার আঁশ, সৈয়দ মাহমুদ আলী, আলম শেখ, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম পাইক, হাকিম কাজি, সৈয়দ নিয়ামত আলী, কামরুল ইসলাম কচি, বাদশা জমাদ্দার, মুন্না সরদার,খান আলিম হাসান, হাসিবুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম, খন্দকার শরিফুল ইসলাম,শাহজামান প্রিন্স, বিএনপি নেতা মোঃ বাবুল শেখ, মাসুদ খান, শামীম হাসান, টিটো জমাদ্দার, কামরুজ্জামান নান্টু, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, তরিকুল ইসলাম রিপন, রবিউল ইসলাম রবি, খন্দকার ইমরান হোসেন,আবু সাঈদ,ইসরাইল বাবু,শাহাজাদা আলমগীর,বাপ্পি খান, নাঈম ইসলাম, হিরক গোলদার, সুমন,দানিশ আরশাদ, সফর কাজী, ইব্রাহিম শেখ, শাহিনুর শেখ, ফেরদৌস, হাসান ফারাজী, জহির খান, তাহসিন প্রমূখ।

উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক মুনসুর স্মৃতি সংসদ এবং বটিয়াঘাটা তরুন সংঘ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলার প্রথমার্ধে বটিয়াঘাটা তরুন সংঘ ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়য়ার্ধে খেলা ২ মিনিট বাকী থাকতে প্লাটিক শটের মাধ্যমে স্বাগতিক মুনসুর স্মৃতি সংসদ ১-১ গোলে খেলায় সমতায় ফেরে। খেলা অমিমাংশিত ভাবে খেলা শেষ হওয়ায় খেলাটি ট্রাইবেকারে গড়ায়। পরে ট্রাইবেকারের মাধ্যমে খেলায় জয় পরাজয় নিশ্চত হয়। ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে বটিয়াঘাটা তরুন সংঘ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা পরিচালনা করেন জুনায়েদ শরিফ, মনিরুল ইসলাম ঢালী, আজিজুর রহমান বাবলু।

ি
খেলা শেষে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল কাজদিয়া গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ ইসার বাড়িতে যান,পরিবারকে শান্তনা দেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন।