স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার লাকসামে যুবদলের দুই নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পৌরসভা যুবদল প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিল থেকে লাকসাম বণিক সমিতির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মজির আহমেদের রাইস মেইলে অবস্থানরত লাকসাম বিএনপির আহবায়ক আবদুর রহমান বাদলের উপর মজির আহমেদের সামনেই আবুল কালামের অনুসারীরা হামলা করে। হামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদলের মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত পায়। আহত অবস্থায় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ১১ নভেম্বর (সোমবার) বিকালবেলা এই ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসে।
এই ঘটনায় লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপির সাধারণ নেতা কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেন। লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপিকে গ্রুপিং করার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করেন সাধারণ নেতা কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বহিষ্কার করে লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপিকে বাঁচানোর আহবান জানান।
আবুল কালামের ডান হাত হিসাবে পরিচিত মোশাররফ হোসেন মশু ও সফিউল্ল্যাহ লাকসাম জুড়ে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করছে, লাকসামের বিভিন্ন বাজারের ইজরা অবৈধভাবে দখল করা, বাজার কমিটির নামে বাজারে চাঁদাবাজি করা, আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যবসা দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই আওয়ামী ও বিভিন্ন মানহানিকর কথা এবং হুমকি দমকি দিচ্ছে। এখনই কোন ব্যবস্থা না নিলে, বিএনপি অধ্যুষিত এই আসন হাতছাড়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এমনটি বলছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদল ও লাকসাম বণিক সমিতির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মজির আহমেদ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে দেখা করতে যান। এই সময় আবদুর রহমান বাদল বলেন নির্বাহী অফিসারের কক্ষে সবার জায়গা হবে না, সিনিয়রদের জায়গা দাও এবং যুবদলের নেতারা বাহিরে অবস্থান কর। এই কথা বলায় পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব আফজাল লাকসাম বিএনপির আহবায়ক আবদুর রহমান বাদলের উপর চড়াও হয়।
কিছুক্ষণ পরে উপজেলা যুবদল ও পৌরসভা যুবদল কিছু নেতাকর্মী বাদলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মজির আহমেদের রাইস মেইলে অবস্থানরত বাদলের উপর দেশী অস্রসস্র নিয়ে আক্রমণ করে এবং মজির আহমেদের রাইস মেইলের অফিসের গ্লাস ভাংচুর ও বদলের উপর আঘাত করলে তিনি মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাত পায়।
বিএনপি নেতাদের প্রোগ্রামে দুইজন যুবদল নেতাকে প্রবেশ করতে না দেয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি কেন্দ্র করে বিকালবেলা মোশাররফ, সফিউল্ল্যাহ, আফজাল, মনির, বাবুল, আলম, সেলিমসহ আরও কয়েকজন আমাকে হেনস্তা করে। একজনের ইটের পাটকেল আমার চোখের উপর পরে। মোশাররফ শফিউল্লাহ, রায়হান, আফজাল, ফারুক লাকসাম জুড়ে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করছে। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তারা এই সুযোগ নিয়ে আমার উপর হামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকা একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছি। চিকিৎসা শেষ হলে বাড়ি ফিরে মামলা করবো। তবে এই বিষয়ে লাকসাম থানাকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি।
লাকসাম থানা ওসি নাসরিন সুলতানা বলেন, আমি শোনিছি, তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।