
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে (১৪) এক কিশোরীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। ওই কিশোরী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মেহের আলী হাজী বাড়ির আব্দুল হকের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় দিকে কিশোরীর পিতা কৃষি কাজ করতে মাঠে চলে যায়। পাশাপাশি মা ও পাশের বাড়িতে এক বাসায় কাজ করতে চলে যায়। ওই সময়ে মনোহরপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের পুত্র মজিবুল বাসার ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এই নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে কিশোরীর মা কচুয়া সিটি হাসপাতালে এনে তাকে চেক-আপ করালে ধর্ষণের আলামত পায়।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক বসে।
শালিসে নাবালিকা মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে মজিবুল বাসার তাকে বিবাহ করতে হবে মর্মে রায় দেয়। কিন্তু মজিবুল বাসার গংরা এই রায় মানেনি। বরং মজিবুল বাসার গংরা হুমকি প্রদান করে যে, এই বিষয় নিয়ে কোন কথা বললে বা আইনের আশ্রয় নিলে কিশোরী ও তার পিতা মাতাকে জানে মেরে লাশ ঘুম করে ফেলবে।
এতে নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরীর মা বিচারের দাবীতে গত ৪ ডিসেম্বর চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়াও তিনি গত ৮ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট ও অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সব অভিযোগে তার মেয়ে বর্তমানে অন্তঃস্বত্তা দাবী করে সু-বিচার পাওয়ার প্রার্থনা জানায়।
এই ব্যাপারে বিবাদী মজিবুল বাসারের ব্যবহৃত (০১৯৩০৩৩৬২২৬) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এইদিকে ওই কিশোরী ন্যায় বিচারপাবে কিনা এই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























