সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনীতি কর্মসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্পর্কে জার্মান কারচারের (Karchar) চীন অঞ্চলের চেয়ারম্যান থাং সিয়াও তং বলেন, এবারের সম্মেলনে বলা হয়েছে, চীনা অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে এবং চীন আরও ইতিবাচক সামষ্টিক ব্যবস্থা নেবে ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াবে। এসব সিদ্ধান্ত বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর চীনে বিনিয়োগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিমাণ বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর চেয়ে বেশি ছিল। গত অক্টোবর পর্যন্ত চীনের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। নতুন মানের উত্পাদিত শক্তির উন্নয়নের দিক দিয়েও চীন বিশ্বে সামনের দিকে ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনের ভোগ বাড়ানোর ব্যবস্থা বিশ্ব-বাজারে আস্থা বৃদ্ধি করবে। লরিয়াল উত্তর এশিয়ার চেয়ারম্যান ও চীনের সিইও বলেন, তাঁর কোম্পানি চীনা সুযোগ ধরে বিশেষ পণ্য তুলে ধরবে। এ ছাড়া, কোম্পানিটি চীনের আন্তর্জাতিক আমদানিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নতুন পণ্য ও সেবা প্রকাশ করবে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, উদ্ভাবনের সামর্থ্যের দিক দিয়ে চীন বিশ্বে ১১ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ক্লাস্টারের মধ্যে চীনের ২৬টি রয়েছে, যা পরপর দুই বছর ধরে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০২৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যক্রম, ভবিষ্যত শিল্প প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার, সবুজ প্রযুক্তি দিয়ে ঐতিহ্যগত শিল্প রূপান্তর করার ক্ষেত্রে চীন নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২০২৫ সাল হবে চীনের ‘১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’-র শেষ বছর। যদিও বর্তমানে চীনা অর্থনীতি বিভিন্ন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তবুও স্থায়ী উন্নয়নের প্রবণতা পরিবর্তন হবে না। আরও ইতিবাচক উন্নয়ন অর্জনের প্রক্রিয়ায় চীনের উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের সংকল্পও পরিবর্তন হবে না। চীন বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনা উন্নয়নের সুযোগ কাজে লাগাতে আহ্বান জানায়।
সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।