ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

পিলখানা হত্যাকান্ডের বিষয়ে “জাতীয় তদন্ত কমিশন” চায় গণঅধিকার

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় পরিকল্পনায় বিডিআর অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআর উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতীয় চাপে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু কোন তদন্ত হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে, নিরপরাধ বিডিআর সদস্যেদর মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এখনো সেই মিথ্যা মামলায় অসংখ্য সদস্য কারাগারে কারাবন্দী রয়েছে। সরকার যেহেতু এই হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণঅধিকার পরিষদ ৩ দফার একটি স্মারকলিপি ১৮ ডিসেম্বর ২৪ ইং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদান করছে।

স্বারক লিপিতে উল্লেখ করেন,

১. পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পূর্ববর্তী সকল কমিশন বাতিল করে নতুন করে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত ও গেজেট ভুক্ত হতে হবে।
তদন্ত কমিশন গঠনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশনকে একটি জাতীয় কমিশনে রূপ দিতে হবে:
ক. সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিকে প্রধান করতে হবে।
খ. হাইকোর্ট বিভাগের ১/২ জন মাননীয় বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গ. বিডিআরের সাবেক সিনিয়র অফিসারদের মধ্য থেকে ১/২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঘ. একজন মানবাধিকার কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে করে পিলখানা হত্যাকান্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
ঙ. একজন আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্পর্কিত এক্সপার্টকে অন্তভূক্ত করতে হবে।

২. বর্তমান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র নাম পরিবর্তন করে আবারও বিডিআরে রূপান্তর করতে হবে।

৩. কারাগারে কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
তারেক রহমান-যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ বিল্লাহ-দপ্তর সমন্বয়ক শহীদ মেজর অবঃ তানভীর হায়দারের স্ত্রী তাসনুভা মাহা, ও সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক

SBN

SBN

পিলখানা হত্যাকান্ডের বিষয়ে “জাতীয় তদন্ত কমিশন” চায় গণঅধিকার

আপডেট সময় ০৫:১৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় পরিকল্পনায় বিডিআর অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআর উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতীয় চাপে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু কোন তদন্ত হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে, নিরপরাধ বিডিআর সদস্যেদর মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এখনো সেই মিথ্যা মামলায় অসংখ্য সদস্য কারাগারে কারাবন্দী রয়েছে। সরকার যেহেতু এই হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণঅধিকার পরিষদ ৩ দফার একটি স্মারকলিপি ১৮ ডিসেম্বর ২৪ ইং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদান করছে।

স্বারক লিপিতে উল্লেখ করেন,

১. পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পূর্ববর্তী সকল কমিশন বাতিল করে নতুন করে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত ও গেজেট ভুক্ত হতে হবে।
তদন্ত কমিশন গঠনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশনকে একটি জাতীয় কমিশনে রূপ দিতে হবে:
ক. সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিকে প্রধান করতে হবে।
খ. হাইকোর্ট বিভাগের ১/২ জন মাননীয় বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গ. বিডিআরের সাবেক সিনিয়র অফিসারদের মধ্য থেকে ১/২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঘ. একজন মানবাধিকার কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে করে পিলখানা হত্যাকান্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
ঙ. একজন আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্পর্কিত এক্সপার্টকে অন্তভূক্ত করতে হবে।

২. বর্তমান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র নাম পরিবর্তন করে আবারও বিডিআরে রূপান্তর করতে হবে।

৩. কারাগারে কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
তারেক রহমান-যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ বিল্লাহ-দপ্তর সমন্বয়ক শহীদ মেজর অবঃ তানভীর হায়দারের স্ত্রী তাসনুভা মাহা, ও সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হান্নান প্রমুখ।