সম্প্রতি চীনের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিজিটিএন-এ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মিশরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসাম শারাফ। তিনি বলেন যে, চীন একটি শক্তিশালী দেশ এবং তিনি চীনের আধুনিকীকরণের উজ্জ্বল সাফল্য প্রত্যক্ষ করেছেন।
এসাম শারাফ প্রথম অর্কিড পুরস্কারের ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী এবং ‘সম্প্রীতি সংস্কৃতির’ দূত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চীনা ও মিশরীয় সভ্যতার মধ্যে সংলাপ প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীন একটি শক্তিশালী দেশ এবং অন্যান্য দেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। চীন প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত এবং সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। চীনা সভ্যতা গভীর ও অনেক উন্নত। চীনা মূল্যবোধের ভিত্তিতে তার কর্মকাণ্ড গঠিত, এবং চীনের আধুনিকীকরণ- সেই মূল্যবোধের ভিত্তিতেই তৈরি। এটাই চীনকে আলাদা করে তুলেছে।
তিনি বলেন, চীন উচ্চ মানের উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। তিনি মনে করেন যে, চীন একটি “জীবন্ত সভ্যতা”। পরিবহন ও অন্যান্য খাতে চীনের উন্নয়ন অসাধারণ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ, একটি শক্তিশালী অর্থনীতি ও জনকল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবশ্যই চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার কারণে এবং সামাজিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারও গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনাটি অন্যান্য দেশে খুব কমই দেখা যায়, যেখানে লোকেরা একটি সাধারণ আদর্শের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে এবং তাদের মাতৃভূমির জন্য কঠোর পরিশ্রমে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, চীনের আধুনিকীকরণ চীনা সভ্যতা এবং মূল্যবোধের গভীরে প্রোথিত। চীনা সভ্যতা সর্বদা সম্প্রীতি, শান্তি, সহযোগিতা এবং সমৃদ্ধির মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করেন তিনি। চীনে ৫৬টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে এবং সব জাতির মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে। কারণ, চীনের আধুনিকীকরণ প্রকৃত অর্থে সবার উপকারে আসে। চীনা জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও সম্প্রীতির সাথে বাস করে, এবং সমাজ স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ ও স্থিরভাবে বিকাশমান। চীনের বৈশ্বিক উদ্যোগের মাধ্যমে চীনের আধুনিক মূল্যবোধও বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
সূত্র: স্বর্ণা-তৌহিদ-ইয়ু,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।