ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ Logo ‘সি চিন পিংয়ের প্রিয় সাংস্কৃতিক উদ্ধৃতি উচ্চতর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দর্শন Logo চীন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য মানবিক রোবট চালু করেছে Logo চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর Logo চীনের ভারত-পাকিস্তানকে সংযমী হওয়ার আহ্বান Logo যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কারোপ আন্তর্জাতিক আর্থ-বাণিজ্য শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছে Logo আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্ম জয়ন্তী Logo শেরপুরে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার জেলায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের 

মোঃআমান উল্লাহ:
জেলায় রবি মৌসুমে ৬৭২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ২৩০ হেক্টর। সব ঠিকঠাক থাকলে উৎপাদন হতে পারে ৫ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন ভুট্টা। গেলো বছর ৫১৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছিল। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার ফলন দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছেন জেলার কৃষকরা।কৃষকদের দেয়া তথ্যমতে, প্রতি বিঘা জমিতে ৪০-৪৫ মণ ভুট্টা হয়। বিঘাপ্রতি খরচ ৮-১০ হাজার টাকা। এ হিসাবে ফসলটি আবাদে বিঘা প্রতি আয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে ভুট্টার আবাদ। জেলার সিংহভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা চলে কৃষির ওপরে। প্রতি বছর জেলার উর্বর মাটিতে নানা রকম ফসলের আবাদ হয়। তারমধ্যে ভুট্টা অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময়ে ধান চাষের ওপর নির্ভর হতো জেলার কয়েক হাজার কৃষকের ভাগ্য। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে কৃষি আবাদের ধরণ। খরচ কম ও অল্প সময়ে ফলন আসাতে কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ধান, গম, সরিষা, পাট, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা ও হলুদ দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখছেন। এখন স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অর্থনীতিতে নতুন করে যোগ হয়েছে ভুট্টা চাষ। বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবন-জীবিকা। মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ হয়েছে ভুট্টার আটা। পাশাপাশি গো-খাদ্য, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ভুট্টাদানার চাহিদা রয়েছে।কৃষকরা বলছেন, এক কানি বা ৪০ শতক জমিতে ২ কেজির মতো বীজ লাগে। সামান্য জায়গাতেও সুন্দরভাবে ভুট্টার চাষ করা যায়। খরচ পড়ে খুবই কম আর লাভ হয় বেশি।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত রবি মৌসুমে শেরপুরে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১৪ হেক্টর জমি। সে সময় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৫৮ হেক্টর বেড়ে ৬৭২ হেক্টরে পৌঁছায়। জেলায় সবচেয়ি বেশি ভুট্টা’র চাষ হয় টেকনাফে। চলতি মৌসুমে ২৩০ হেক্টর জমিতে আবাদের নির্ধারন করা হয়েছে। গেলো বছর টেকনাফে আবাদ হয়েছিল ২২৫ হেক্টর। চকরিয়াতে ৮৫ হেক্টর এবং রামু উপজেলায় ৭০ হেক্টর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সরকার ভুট্টা চাষে অনেক কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছে। এছাড়া মাঠ প্রদর্শনী বাবদও অনেক কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন। প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেক চাষিকে দুই কেজি করে ভুট্টার বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ড্যাপ সার) ও ১০ কেজি এমওপি (পটাশ) সার বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় প্রতি বছর ভুট্টা’র আবাদ বাড়ছে। ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের বীজ, সারসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি রোগবালাই দমনে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

SBN

SBN

কক্সবাজার জেলায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের 

আপডেট সময় ০১:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
মোঃআমান উল্লাহ:
জেলায় রবি মৌসুমে ৬৭২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ২৩০ হেক্টর। সব ঠিকঠাক থাকলে উৎপাদন হতে পারে ৫ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন ভুট্টা। গেলো বছর ৫১৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছিল। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার ফলন দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছেন জেলার কৃষকরা।কৃষকদের দেয়া তথ্যমতে, প্রতি বিঘা জমিতে ৪০-৪৫ মণ ভুট্টা হয়। বিঘাপ্রতি খরচ ৮-১০ হাজার টাকা। এ হিসাবে ফসলটি আবাদে বিঘা প্রতি আয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে ভুট্টার আবাদ। জেলার সিংহভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা চলে কৃষির ওপরে। প্রতি বছর জেলার উর্বর মাটিতে নানা রকম ফসলের আবাদ হয়। তারমধ্যে ভুট্টা অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময়ে ধান চাষের ওপর নির্ভর হতো জেলার কয়েক হাজার কৃষকের ভাগ্য। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে কৃষি আবাদের ধরণ। খরচ কম ও অল্প সময়ে ফলন আসাতে কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ধান, গম, সরিষা, পাট, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা ও হলুদ দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখছেন। এখন স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অর্থনীতিতে নতুন করে যোগ হয়েছে ভুট্টা চাষ। বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবন-জীবিকা। মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ হয়েছে ভুট্টার আটা। পাশাপাশি গো-খাদ্য, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ভুট্টাদানার চাহিদা রয়েছে।কৃষকরা বলছেন, এক কানি বা ৪০ শতক জমিতে ২ কেজির মতো বীজ লাগে। সামান্য জায়গাতেও সুন্দরভাবে ভুট্টার চাষ করা যায়। খরচ পড়ে খুবই কম আর লাভ হয় বেশি।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত রবি মৌসুমে শেরপুরে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১৪ হেক্টর জমি। সে সময় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৫৮ হেক্টর বেড়ে ৬৭২ হেক্টরে পৌঁছায়। জেলায় সবচেয়ি বেশি ভুট্টা’র চাষ হয় টেকনাফে। চলতি মৌসুমে ২৩০ হেক্টর জমিতে আবাদের নির্ধারন করা হয়েছে। গেলো বছর টেকনাফে আবাদ হয়েছিল ২২৫ হেক্টর। চকরিয়াতে ৮৫ হেক্টর এবং রামু উপজেলায় ৭০ হেক্টর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সরকার ভুট্টা চাষে অনেক কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছে। এছাড়া মাঠ প্রদর্শনী বাবদও অনেক কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন। প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেক চাষিকে দুই কেজি করে ভুট্টার বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ড্যাপ সার) ও ১০ কেজি এমওপি (পটাশ) সার বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় প্রতি বছর ভুট্টা’র আবাদ বাড়ছে। ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের বীজ, সারসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি রোগবালাই দমনে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।