ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় চার চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মী কারাগারে

  • শান্তা ইসলাম।
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় তিন ইউপি ও এক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসাইনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাক্কারুল হোসেন তালুকদার মিলন, লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আজহারুল ইসলাম তুহিন, রৌহা ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্না, খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান তালুকদার সোয়েব সিদ্দিকী, খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং নেত্রকোণা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম রেজা খান সরল সহ অনন্ত ২০জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বালিজুরী গ্রামের মো. সুজন শেখের মোটরসাইকেলসহ দুইটি মোটরসাইকেল উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের জামতলা বাজারে গত ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারী আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে মো. সুজন শেখ বাদী হয়ে রৌহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্নাসহ ৫৮জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০- ৬০জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নেত্রকোণা সদর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ ওয়াজিবুল হক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে মঙ্গলবার হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোণায় চার চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মী কারাগারে

আপডেট সময় ০৪:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় তিন ইউপি ও এক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসাইনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাক্কারুল হোসেন তালুকদার মিলন, লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আজহারুল ইসলাম তুহিন, রৌহা ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্না, খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান তালুকদার সোয়েব সিদ্দিকী, খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং নেত্রকোণা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম রেজা খান সরল সহ অনন্ত ২০জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বালিজুরী গ্রামের মো. সুজন শেখের মোটরসাইকেলসহ দুইটি মোটরসাইকেল উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের জামতলা বাজারে গত ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারী আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে মো. সুজন শেখ বাদী হয়ে রৌহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্নাসহ ৫৮জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০- ৬০জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নেত্রকোণা সদর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ ওয়াজিবুল হক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে মঙ্গলবার হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম।