মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। রাষ্ট্রে সমৃদ্ধি আসবে।
২৯ জানুয়ারী ২৫ ইং বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২৫-এপ্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়াস আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে আলেমদের এরূপ উদ্যোগ আরো বেশি প্রশংসনীয়। তাদের মধ্যে যেহেতু আল্লাহ ভীতি আছে সেকারণে তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনরূপ অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করবেন না। তারা পণ্যে ভেজাল দেবেন না। তারা ওজনে কম দেবেন না, পরিমানে কম দেবেন না। এর ফলে বাজারে বিশুদ্ধ খাদ্যদ্রব্য ও খাঁটি পণ্য পাওয়া যাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ। উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ তৈরি সৃষ্টি করা। অনুকূল পরিবেশ ছাড়া উদ্যোক্তা তৈরি হয়না। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রয়াস নিতে হবে।
উদ্যোক্তা তৈরির সুবিধাসমূহ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, কোন উদ্যোক্তা সফল হলে প্রথমত ব্যক্তির লাভ। এরপরে সমষ্টিগত লাভ, সমাজ ও দেশের লাভ। উদ্যোক্তা তৈরি হলে মানুষের অলস অর্থ বিনিয়োগ হয়। এর ফলে বাজারে তারল্যসংকট দূরীভূত হয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে উঠে, বাজারে গুনগতমানের পণ্যের সমাহার ঘটে।
হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, বৈধ অর্থ আয়ের যে ১০টি পথ আছে তার নয়টিই হলো ব্যবসা। টাকা আয় করতে হবে বৈধ পথে। যেনতেনভাবে টাকা আয়ের চিন্তা-ভাবনা পরিহার করতে হবে।
টাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, টাকা থাকা ভালো। আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে হজ ও যাকাতের মতো ফরজ ইবাদত সম্পাদন করা যায়। আর্থিক দীনতা মানুষের স্বভাব নষ্ট করে দেয় এবং মানুষ অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। একারণে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
কওমি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা রোকন রাইয়ানের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে রহিম আফরোজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহিম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, আইএফএ কনসালটেন্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, কওমি উদ্যোক্তার সহপ্রতিষ্ঠাতা মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
অনলাইন টেক একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কওমি ঘরনার দুই সহস্রাধিক আলেম উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করে।