উৎসবের পুনর্মিলন; কল্যাণে ভরে ওঠে পৃথিবী। গত (মঙ্গলবার) রাত ৮টায় ‘শুভ ও আনন্দময়’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র ‘বসন্ত উৎসব গালা, ২০২৫’ সম্প্রচারিত হয়। এতে ‘সবকিছু ঠিকঠাক চলা, সৌভাগ্য ও অন্তহীন জীবন’-এর আকাঙ্খা ফুটে ওঠে। টিভির পর্দায় ইনোভিটিভ উপাদানের মিশ্রণ ঘটিয়ে, হাসি ও আনন্দে ভরা একটি সাংস্কৃতিক উত্সব, দেশে-বিদেশে দর্শকদের বিনোদন দেয়।
সিএমজি’র এবারের বসন্ত উৎসব গালা, দেশীয় নতুন মিডিয়াতে দর্শকসংখ্যা ও মিথস্ক্রিয়ার দিক দিয়ে, নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, নতুন মিডিয়াতে সরাসরি অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন ২.৮১৭ বিলিয়ন দর্শক, গত বছর যা ছিল ২.১২৭ বিলিয়ন। এবার দর্শকসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি। ‘ভার্টিক্যাল মোডে বসন্ত উৎসব গালা দেখা’ হয়েছে ৪৯.৬ কোটি বার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.০৯ শতাংশ বেশি; সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন ২৮.৬ কোটি জন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেশি।
গালা সম্পর্কে সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন টপিক পড়া হয়েছে ১৬.৬ বিলিয়ন বার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫ কোটি বেশি; সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গালাসম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে ৬৭ কোটি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৭৫ শতাংশ বেশি। তাছাড়া, অ্যাক্সেসযোগ্য সম্প্রচার এবং ওমনিমিডিয়া রিচ ছিল ৫ কোটি ২০ লাখ।
বিদেশে সম্প্রচারের বহু সূচক পুনরায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি ও রুশ চ্যানেল এবং ৮২টি বিদেশী ভাষার নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ২৯০০টিরও বেশি মিডিয়া এবারের গালা একই সাথে সম্প্রচার করেছে; বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিদেশে গালার ভিডিও ভিউ হয় ৫২ কোটি।
সিসিটিভি’র বৈদেশিক সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার জন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১.৩৯ শতাংশ বেশি। জাপানের একটি প্রধান ভিডিও ওয়েবসাইট ‘নিকোনিকো’ টানা দশ বছর ধরে সিএমজি’র বসন্ত উৎসব গালা সম্প্রচার করে আসছে। এবার এর রিয়েল-টাইম অনলাইন দর্শকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজারেরও বেশি। বিশ্বের ৮৭টি দেশের ১৩৬টি শহরে মোট ৩৫০৮টি বড় পর্দায় উন্মুক্ত স্থানে সিএমজি’র বসন্ত উৎসব গালা প্রচার বা সম্প্রচার করা হয়েছে। পর্দার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২২৩টি বেশি ছিল। তাছাড়া, দেশ ও শহরের সংখ্যাও গতবছরের তুলনায় পৃথক পৃথকভাবে ৭৭.৫৫ ও ৫১ শতাংশ বেশি ছিল।
‘বসন্ত উৎসব’ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সংযুক্ত হবার পর প্রথম বসন্ত উৎসব গালা ছিল এটি, যার মধ্য দিয়ে নতুন সময়পর্বের মঞ্চে চীনা জাতির শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির তেজীভাব ফুটে উঠেছে।
সূত্র: ওয়াং হাইমান-আলিম-ছাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।