ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ Logo ‘সি চিন পিংয়ের প্রিয় সাংস্কৃতিক উদ্ধৃতি উচ্চতর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দর্শন Logo চীন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য মানবিক রোবট চালু করেছে Logo চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর Logo চীনের ভারত-পাকিস্তানকে সংযমী হওয়ার আহ্বান Logo যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কারোপ আন্তর্জাতিক আর্থ-বাণিজ্য শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছে Logo আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্ম জয়ন্তী Logo শেরপুরে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ও শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আটক করে সাতজনকে।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে সদরের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই উত্ত্যক্তকারীকে মারধর করে। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ ঘটনায় রাতে কুসুমহাটি বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এর জের ধরে শনিবার সকালে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুপক্ষের মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়। সকাল থেকেই দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুর জেলার মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু বলেন, সামান্য ঘটনার জের ধরে এত বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক নয়। একটা পক্ষ এদের উসকে দিয়ে শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজকেও মাইকিং করে জড়ো হয়েছিল। পরে পুলিশ মোতায়েন করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধী যারাই হোক না কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেব না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা আইনের উপযুক্ত প্রয়োগ নিশ্চিত করব।

দুই গ্রামবাসির ঘটনায় অনেক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে। দুই গ্রামের অবস্থা থমথমে বিরাজ করছে সেই সাথে প্রশাসন ও কঠিন অবস্থানে আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

SBN

SBN

শেরপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

আপডেট সময় ০৮:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ও শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আটক করে সাতজনকে।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে সদরের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই উত্ত্যক্তকারীকে মারধর করে। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ ঘটনায় রাতে কুসুমহাটি বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এর জের ধরে শনিবার সকালে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুপক্ষের মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়। সকাল থেকেই দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুর জেলার মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু বলেন, সামান্য ঘটনার জের ধরে এত বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক নয়। একটা পক্ষ এদের উসকে দিয়ে শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজকেও মাইকিং করে জড়ো হয়েছিল। পরে পুলিশ মোতায়েন করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধী যারাই হোক না কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেব না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা আইনের উপযুক্ত প্রয়োগ নিশ্চিত করব।

দুই গ্রামবাসির ঘটনায় অনেক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে। দুই গ্রামের অবস্থা থমথমে বিরাজ করছে সেই সাথে প্রশাসন ও কঠিন অবস্থানে আছে।