মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 
এম ডি এন মাইকেল
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা ৬নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের প্রকাশ্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সুত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ৬ নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলাম দীর্ঘ বছর থেকে উক্ত ইউনিয়নের নাগরিকদের নাগরিক সেবা দেওয়ার নামে সরকার নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন ফী জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফী মৃত্যু সনদ ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ফী এর বাহিরে অধিক টাকা নেওয়ার (ভিডিও চিত্র সংরক্ষিত) প্রমাণ পাওয়া)।
৬ নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এর সাধারণ নাগরিকদের সাথে কথা বলে আরও জানা যায়,সচিব নজরুল ইসলাম সরকার নির্ধারিত ফি বাহিরে ও তাকে বেশি টাকা না দিলে তিনি কোন কাজ করেন না। ভুক্তভোগীরা আরো জানান সচিব নজরুল ইসলাম ৬ নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়নে অনিয়াম ও দুর্নীতির জন্য তৈরি করেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।সিন্ডিকেটের মূল হোতা বহিরাগত সজীব নামে জনৈক এক ব্যক্তি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ইউনিয়ন কম্পিউটার সার্ভেয়ারের পাসওয়ার্ড নাম্বার সচিব নজরুল ইসলাম তার অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট প্রধান সজিব এর কাছে দিয়ে রেখেছেন এতে করে প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রচার হওয়ার যুকি থেকে যায়। যদিও সরকারি বিধি বিধান অনুযায়ী সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড নাম্বার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে হস্তান্তর করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ৬নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমেই তিনি ব্যস্ত আছি বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরবর্তীতে ছয় নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন রুহুল এই প্রতিবেদককের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন আপনি আমাদের ছয় নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলামের কাছে কি জানতে চান আমাকে বলেন।সচিব আপনার নাম্বারটি আমাকে দিয়েছে আপনার সাথে কথা বলার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে।
প্রতিবেদক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন রুহুলকে জানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আপনার ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আপনি কি সচিব নজরুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন, প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন সালাউদ্দিন রুহুল মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরবর্তীতে দুইদিন পর বক্তব্য জানতে সচিব নজরুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি দেবিদ্দার উপজেলা ছাত্রদলের ২ নং যুগ্ন আহবায়ক নাজমুল নামক জনৈক ব্যক্তিকে ফোন ধরিয়ে দেন,তখন নাজমুল প্রতিবেদককে জানান আমরা নিজেরা বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি সুতরাং আপনি এখানে হস্তক্ষেপ না করলেই ভালো হয়।প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন সচিব নজরুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খানকে অবগত করা হয়েছে তা কি আপনি জানেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে দেবিদ্দার উপজেলা ছাত্রদলের দুই নং যুগ্ন আহবায়ক পরিচয় দানকারী নাজমুল মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এর কিছুক্ষণ পর সজীব নামধারী (০১৮৬৪৬৪০১৩৩) এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে সচিব নজরুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির সাংবাদ প্রকাশিত না করার জন্য ভয় ভীতি দেখিয়ে বলেন, আপনি সচিবের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদের সমস্যা হবে, সুতরাং আপনি এই সংবাদ প্রকাশ করবেন না। করলে সমস্যা হবে আপনার। সজিব এর হুমকি ধামকির বিষয়টি দেবিদ্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবগত করা হয়। ৬ নং ফতেয়াবাদ ইউনিয়ন সচিব নজরুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে দেবিদ্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান এর মোঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান আপনার দেওয়া অভিযোগের বিষয় নিয়ে আমি সচিব নজরুল ইসলাম ও উদ্যোক্তা সজীবকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি।
সচিব নজরুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির আরো অনুসন্ধান চলমান।
