
বাঘাইছড়ি (রাঙ্গামাটির) প্রতিনিধি
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্রে গত ২৪ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, বসতঘর, দোকান সহ প্রায় একশ অধিক স্থাপনা পুড়ে চাই হয়ে যায়।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাঙ্গামাটি জেলায় সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে কটেজ মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে আলাপ করেন, এসময় তিনি বলেন, ‘সাজেক ভ্যালিতে ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশেষ ইউনিট করার জন্য আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব। এখানে যে পরিমাণ পানির সমস্যা সেটার নিরসন নিয়েও কাজ করা হবে। সাজেকে আগুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, কটেজ মালিকদের সাথে কথা বলেছি, তাদের জন্য করপোরেট লোনের (ঋণ) ব্যবস্থা করে দিতে বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করব।
এসময় তার সঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, সাজেক ভ্যালিতে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. মোবারক হোসেন, কমিটির সদস্য সচিব ও বাঘাইছড়ি উপজেলার ইউএনও শিরীন আক্তার, সাজেক কটেজ-রিসোর্ট মালিক
ৃসমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেববর্মণ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, দুপুরে আগুনের উৎস উদঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক মোবারক হোসেন ও সদস্য সচিব বাঘাইছড়ি উপজেলার ইউএনও শিরীন আক্তার, এলাকা পরিদর্শন করেন, পরিদর্শনকালে তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডে কারণ উদঘাটনে বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেন। তবে আগুনের উৎস সম্পর্কে তদন্ত কমিটি কিছু জানাতে পারেননি, তখন আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা ৩৫ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।